×

টেলিকম

বিটিসিএল এসটিএন প্রকল্প: কারচুপির পরও পিডির কল্যাণে কাজ পাচ্ছে জিনিউ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম

বিটিসিএল এসটিএন প্রকল্প: কারচুপির পরও পিডির কল্যাণে কাজ পাচ্ছে জিনিউ

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। গ্রাফিক্স ভোরের কাগজ

গ্রাহকের সেবার মানবৃদ্ধি রাজস্ব আয়সহ কলড্রপ হ্রাসের লক্ষ্যে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এসটিএন) প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। তবে প্রকল্প পরিচালকের স্বেচ্ছাচারিতায় অযাচিত হস্তক্ষেপে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে প্রকল্পটি। অখ্যাত ও জাল অভিজ্ঞতা সনদ প্রদান করা প্রতিষ্ঠান জিনিউকে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তৌফিকুল ইসলাম। 

নানা অনিয়মের কারণে দ্বিতীয় দফায় পুনরায় দরপত্র আহবান করলে স্বয়ং প্রকল্প পরিচালক নিজ উদ্যোগে গত ১৩ আগস্ট কারিগরি বিনির্দেশ কমিটির আহবায়কের কাছে চিঠি দিয়ে আইসিএক্সের নূন্যতম ক্যাপাসিটি ৫০ হাজার এসআইপি ট্রাঙ্ক কমিয়ে ৩২ হাজার ৫০০ এসআইপি ট্রাঙ্ক করার সুপারিশ করেন, যা দরপত্র চলাকালীন সুনির্দিষ্ট অনৈতিক হস্তক্ষেপ। পাশাপাশি অখ্যাত কোম্পানি জিনিউ টেকনলোজিস লিমিটেডের স্বার্থের কথাও সেখানে উল্লেখ করেন। তার এই স্বেচ্ছাচারী আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে খোদ বিটিসিএলকে। এ সংক্রান্ত সকল প্রমাণপত্র ভোরের কাগজের হাতে এসেছে।

গত ২১ এপ্রিল এই দরপত্রে অংশ নেয় হুয়াওয়ে ও জিনিউ। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সদস্য সচিব হিসেবে প্রকল্প পরিচালক নিজেই সব কারিগরি প্রস্তাব ও তথ্য যাচাই-বাছাই করেন করে মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিটিসিএলের পরিচালনা পরিষদ সভায় উপস্থিত করা হলে উক্ত পরিষদ সন্দেহ করে। তখন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তৎকালীন যুগ্ম-সচিব (পরিচালনা পরিষদের সদস্য) শেখ সালেহ আহমেদকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি অধিকতর যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করে। 

জানা গেছে, মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও প্রস্তাবিত দরপত্র যাচাই করে গুরুতর অসঙ্গতির প্রমাণ পায় কমিটি। জিনিউ থেকে প্রদান করা প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা সনদটিও জাল হিসেবে প্রমাণ হয়। এই ধরণের অপরাধের শাস্তি স্বরূপ পিপিএ-এর ৬৪ ও পিপিআর-এর ১২৭ অনুচ্ছেদের ৪ অনুযায়ী, এরকম দরদাতার প্রস্তাব সরাসরি বাতিল ও দরদাতার বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তির বিধান রয়েছে। 

শুধু তাই নয়, প্রকল্পের দরপত্র অনুযায়ী ৫০ হাজার এসআইপি ট্রাঙ্ক-এর সক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবী করে জিনিউ দরপত্র জমা দিলেও সেগুলোর সক্ষমতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় তারা। যা সরাসরি ম্যাটেরিয়াল ডিভিশন ও দরপত্র বাতিলের জন্য যথেষ্ট। 

এসটিএন প্রকল্পের অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং একটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার বিষয়ে জানতে প্রকল্প পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ম্যাসেজ করেও রিপ্লাই পাওয়া যায়নি। 

তবে এ দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তৎকালীন যুগ্ম-সচিব (পরিচালনা পরিষদের সদস্য) শেখ সালেহ আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই কমিটি ডকুমেন্টগুলো চেক করে দেখেছি। আমাদের অনুসন্ধানে জিনিউ টেকনলোজিস লিমিটেডের ডকুমেন্টগুলো জাল মনে হয়েছে। নিজস্ব ডোমেইন থেকে মেইল করার কথা থাকলেও তারা জিমেইল থেকে মেইল করেছিল। আমরা অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে আপোষহীন ছিলাম। ফলে সব কিছু বিবেচনা করে আমরা পুনরায় টেন্ডার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম। 

তিন সদস্য বিশিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটি ক্রয় সংক্রান্ত কাজের দরপ্রস্তাব বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহবান করার এবং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান জিনিউয়ের বিরুদ্ধে পিপিএ এবং পিপিআর অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে। প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে দরপত্রটি বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহবানের নির্দেশ করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ জুলাই প্রকল্প পরিচালক দরপত্রটি পুনরায় আহবান করে।

এদিকে জিনিউ-এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া তো দূরে থাক, বরং কারিগরি বিনির্দেশ কমিটির আহবায়ক বরাবর প্রকল্প পরিচালক নিজ উদ্যোগে আইসিএক্সের নূন্যতম ক্যাপাসিটি ৫০ হাজার এসআইপি ট্রাঙ্ককে কমিয়ে ৩২ হাজার ৫০০ করার সুপারিশ করেন যাতে জিনিউ এবার কোন ঝামেলা ছাড়া কাজ পেয়ে যায়। তার প্রেক্ষিতে, প্রকল্প পরিচালক ১৪ আগস্টে এই সংক্রান্ত সংশোধনী প্রকাশ করে।

নতুন দরপত্রটি ২৮ আগস্টে জমা নেয়া হয়। তারপর প্রকল্প পরিচালক তড়িঘড়ি করে মূল্যায়ন কমিটিকে প্রভাবিত করে তথ্য গোপনের আশ্রয় নিয়ে জিনিউয়ের অনুকূলে আবারো প্রতিবেদন দাখিল করে।  

গত ১১ সেপ্টেম্বর পরিচালনা পরিষদের সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হয়। পরিচালনা পরিষদ আবারও সন্দেহ প্রকাশ করায় দ্বিতীয় দফায় তিন সদস্য বিশিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করে যার আহবায়ক করা হয় মিজানুর রহমানকে। 

কমিটির এ পর্যন্ত অনুসন্ধান সম্পর্কে মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্প পরিচালক গতবারের যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিবেদনটি নথিপত্র থেকে গায়েব করে ফেলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে আইসিএক্সের ক্যাপাসিটি এই এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে ফেললে তা বর্তমান চাহিদা মেটাতে পারবে না।

এখানে আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। প্রথম দরপত্রে চাওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার সিপিই ট্রাঙ্ক। আর দ্বিতীয়টায় চাওয়া হয় ৩২ হাজার ৫০০ সিপিই ট্রাঙ্ক। দ্বিতীয়বার কম সক্ষমতার প্রযুক্তির কারণে এর দাম কম হবার কথা। অথচ প্রথমবারের চেয়ে পরের বার যন্ত্রাংশ বাবদ প্রায় ৬১ লাখ টাকা বেশি প্রস্তাব করে জিনিউ।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

ভোরের কাগজ অনলাইনে প্রকাশিত ‘বিটিসিএল এসটিএন প্রকল্প: কারচুপির পরও পিডির কল্যাণে কাজ পাচ্ছে জিনিউ’ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট চি কিংগুই। ২৮ সেপ্টেম্বর ভোরের কাগজের অফিসে এসে বলেছেন, আমি নিজে হুয়াওয়েতে চাকরি করেছি। আমি জানি এই সংবাদ হুয়াওয়ে করতে সহযোগিতা করেছে। তিনি এ সময় বাংলা ও ইংরেজিতে লিখিত একটি প্রতিবাদপত্র দিয়ে যান। 

প্রতিবাদে তিনি লিখেছেন, প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, যা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। জিনিউ টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেড একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান, যা ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমরা সফলভাবে বিটিসিএল আইওএস প্রকল্প সম্পন্ন করেছি এবং তিন বছর আগে গ্রহণযোগ্যতার সনদ পেয়েছি। এছাড়া ২০২৩ সালে বাংলাদেশের একটি প্রধান মোবাইল অপারেটরের জন্য আইসিএক্স প্রকল্প (৩ লাখ ৭৫ হাজার একসঙ্গে কার্যকর হওয়া এসআইপি ট্রাঙ্ক) সফলভাবে সম্পন্ন করেছি এবং ২০২৪ সালে প্রকল্প সমাপ্তির সনদ অর্জন করেছি। একই বছরে আমরা রিংটেক আইসিএক্স এবং অগ্নি আইসিএক্স প্রকল্পও (৯০ হাজার একসঙ্গে কার্যকর হওয়া এসআইপি ট্রাঙ্ক) সফলভাবে সম্পন্ন করি। বাংলাদেশ ছাড়াও আমরা মালয়েশিয়ার টিএম, ভারতের বিএসএনএল ও টাটা, ইতালির টিস্কালি, ফিলিপাইনের পিএলডিটি, চীনের চায়না টেলিকম, কাজাখিস্তানের কেসেলসহ বিশ্বের বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এসব কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের যোগ্যতা ও সক্ষমতার প্রমাণ বহন করে।

চি কিংগুই আরো লিখেছেন, বিটিসিএল আইসিএক্স টেন্ডারের ক্ষেত্রে জিনিউ টেকনোলজিস সবগুলো শর্ত পূরণ করেছে। টেন্ডার নথিতে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন সত্ত্বেও আমরা সবকিছু নিয়ম মেনে যাচাই-বাছাই করে অংশগ্রহণ করেছি। এটি ২০২২ সাল থেকে অনুষ্ঠিত চতুর্থবারের মতো পুনঃটেন্ডার। আমাদের প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার ও ৩২ হাজার ৫০০ এসআইপি ট্রাঙ্কের সক্ষমতা সংক্রান্ত সনদ ও কার্যসম্পাদনের প্রমাণ উপস্থাপন করেছে। ২০২৩ সালেই বাংলাদেশে আমরা ৩ লাখ ৭৫ হাজার এবং ৯০ হাজার এসআইপি ট্রাঙ্ক প্রকল্প সম্পন্ন করেছি, যা আমাদের দক্ষতার যথেষ্ট প্রমাণ।

তিনি আরো লিখেছেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের প্রস্তাবিত দর ২২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সম্পূর্ণ অসত্য। প্রকৃতপক্ষে, তৃতীয় টেন্ডারের তুলনায় চতুর্থ টেন্ডারে আমাদের প্রস্তাবিত দর ২২ মিলিয়ন টাকা কমানো হয়েছে। এছাড়া, আমরা টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী চায়না টেলিকম এবং টিএম মালয়েশিয়া থেকে প্রাপ্ত অফিসিয়াল ইমেইল সনদও সরবরাহ করেছি। প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। আমরা অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ সংশোধনী ও স্পষ্টীকরণ প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে সত্য ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

ভোরের কাগজের হাতে আসা সকল ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করেই এরপর সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে এবং সরকার প্রকল্পের দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তৎকালীন যুগ্ম-সচিব (পরিচালনা পরিষদের সদস্য) শেখ সালেহ আহমেদের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি তদন্তে জানতে পেরেছেন, জাল অভিজ্ঞতা সনদ প্রদানসহ বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ রয়েছে জিনিউয়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে জিনিউ টেকনলোজিস লিমিটেডের ডকুমেন্টগুলো জাল মনে হয়েছে। নিজস্ব ডোমেইন থেকে মেইল করার কথা থাকলেও তারা জিমেইল থেকে মেইল করেছিল। আমরা অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে আপোষহীন ছিলাম। ফলে সব কিছু বিবেচনা করে আমরা পুনরায় টেন্ডার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম।’  

এছাড়া তিন সদস্য বিশিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটি ক্রয় সংক্রান্ত কাজের দরপ্রস্তাব বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহবান করার এবং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান জিনিউয়ের বিরুদ্ধে পিপিএ এবং পিপিআর অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে। 

এদিকে জিনিউ-এর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে বরং কারিগরি কমিটির আহবায়ক বরাবর প্রকল্প পরিচালক নিজ উদ্যোগে আইসিএক্সের নূন্যতম ক্যাপাসিটি ৫০ হাজার এসআইপি ট্রাঙ্ককে কমিয়ে ৩২ হাজার ৫০০ করার সুপারিশ করেন যাতে জিনিউ এবার কোন ঝামেলা ছাড়া কাজ পেয়ে যায়। তার প্রেক্ষিতে, প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তৌফিকুল ইসলাম ১৪ আগস্টে এই সংক্রান্ত সংশোধনী প্রকাশ করে। 

এ সংক্রান্ত সকল ডকুমেন্টস ভোরের কাগজের হাতে রয়েছে। এছাড়া সংবাদে ভোরের কাগজের নিজস্ব কোনো মতামত বা বক্তব্য প্রকাশ হয়নি। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য ও ডকুমেন্টসের আলোকে সংবাদটি প্রকাশ হয়েছে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড; বিশ্ব গণমাধ্যমে যেভাবে খবর প্রকাশ

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড; বিশ্ব গণমাধ্যমে যেভাবে খবর প্রকাশ

শেখ হাসিনাকে নিয়ে গান গাইলেন যুবক

শেখ হাসিনাকে নিয়ে গান গাইলেন যুবক

সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের হুঁশিয়ারি পুলিশের

সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের হুঁশিয়ারি পুলিশের

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App