আটাবে প্রশাসক নিয়োগের প্রতিবাদে সাধারণ সদস্যদের মানববন্ধন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১০:০৭ পিএম

আটাবে প্রশাসক নিয়োগের প্রতিবাদে সাধারণ সদস্যদের মানববন্ধন
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এ প্রশাসক নিয়োগের প্রতিবাদে এবং নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাজধানীর কাকরাইলে আটাব কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো অ্যাসোসিয়েশনে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে কার্যকর ফল আসেনি। বরং দীর্ঘমেয়াদে প্রশাসক নিযুক্ত থাকায় অ্যাসোসিয়েশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এবং সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। আটাবেও পূর্বে কখনো প্রশাসক নিয়োগ হয়নি এবং সাধারণ সদস্যরা ইহা চান না।
তারা বলেন, নির্বাচিত কমিটির অধীনেই আটাবের কার্যক্রম পরিচালিত হোক, এটাই সদস্যদের দাবি।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে প্রশাসক প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট ছাড়াই এয়ার টিকিট ব্লক করে কালোবাজারে বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট, যারা টিকিটের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়িয়ে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু জিএসএ এবং হাতে গোনা কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি সম্পৃক্ত। সরকারের জারি করা পরিপত্র অমান্য করেও এই এজেন্সিগুলো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা বলেন, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) পরিচালনায় এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। ফলে কিছু ওটিএ এজেন্সি ট্রাভেল ব্যবসা ও সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত ওটিএ নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান আটাব সদস্যরা।
মানববন্ধনে আটাব সদস্যদের পক্ষ থেকে, বিগত সরকারের সময় গড়ে ওঠা টিকিট সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা জুম্মন চৌধুরী ও সবুজ মুন্সীর গ্রেপ্তার এবং তাদের এজেন্সি লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি তোলা হয়। বিমান মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে বলে মত দেন সকল বক্তা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আটাব সাধারণ সদস্যদের প্রধান সমন্বয়ক শাহ আলম কবির। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- আটাব সদস্য শরীফুল আলম দিপু, মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল আলম, মাহমুদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, সুমন, ফয়সাল করিম জনি, ইমাম হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মোজাফ্ফর হোসেন, জসিম হোসেন প্রমুখ।