×

এই জনপদ

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল

বকশিসের নামে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ রোগীরা

Icon

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বকশিসের নামে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সেবা নিতে আসা রোগীরা। প্রতিটি বিভাগেই টাকা ছাড়া যেন সেবা মেলেনা গরিবের চিসিৎসালয় খ্যাত এই হাসপাতালে। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের ওয়ার্ড বয়, নার্স ও আয়াদের চাঁদাবাজিতে এখানে সেবা নিতে আসা রোগীরা। টাকা দিলেই বেড, চাদর থেকে শুরু করে ভালো সেবা পাওয়া যায়। না দিলে কিছুই পাওয়া যায় না।

হাসাপাতালের সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, এখানে সেবা নিতে আসলে বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে নার্স ও আয়াদের টাকা না দিলে বেড থেকে শুরু করে কোনো ধরনের সেবা পাওয়া কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। তাদের টাকা না দিলে রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ করেন রোগী ও তার স্বজনরা। আবার হাসাপাতালের এসব স্টাফদের টাকা দিলেই মেলে বেড, চাদর থেকে শুরু করে কাক্সিক্ষত সেবা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের গুহবধু রোকেয়া খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে নিয়ে যাওয়া একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্বজনদের বলেন নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা আছে, আপনারা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকের কথা মত মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্মরত গাইনি বিভাগের নার্স ও আয়ারা ওই প্রসূতিকে ভর্তি না করতে নানা তালবানা শুরু করে।

পরে রোকেয়ার স্বজনরা অনুরোধ করলে সেখানে থাকা কয়েকজন আয়া বললেন তিন হাজার টাকা লাগবে। উপায় না পেয়ে তাতেই রাজি হতে হয় প্রসূতির স্বজনদের। কিছুক্ষণ পরেই নরমালে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রোকেয়া। তারপর আয়ারা টাকা চাইতে শুরু করলে হতদরিদ্র রোকেয়ার স্বজনরা ২ হাজার ২শ টাকায় মিটমাট করেন। অথচ বিনা পয়সায় রোকেয়ার পূর্ণ সেবা পাওয়ার কথা ছিল।

রাধাকান্তপুর গ্রামের ওমর ফারুক হাত ভাঙ্গা নিয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। হাসপাতালে সুযোগ থাকলেও বাইরে থেকে এক্সরে করতে হয় তাকে। পরে ইমার্জেন্সিতে এসে প্লাস্টার করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় তাকে। উপায় না পেয়ে সেখানে থাকা ওয়ার্ডবয়কে ১৫০ টাকা দিয়ে প্লাস্টারের ব্যান্ডেজ করে বাড়ি যায় ওমর ফারুক।

জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দিতে আসা অনন্যকেও দিতে হয়েছে বকশিস হিসেবে ২০ টাকা। কেন দিতে হবে জানতে চাইলে রেগে গিয়ে উল্টো তাকেই জিজ্ঞেস করেন, কেন দেবেন না। এখনো দুদিন আসতে হবে আপনাকে তখন দেখবা কীভাবে ভ্যাকসিন দেন।

টাকা না পেলে এমন হুমকি জেনারেল হাসপাতালে নিয়মিত ব্যাপার। এছাড়া ভর্তি রোগীর ছুটি হলে সেখানে থাকা আয়াদের টাকা না দয়ো পর্যন্ত মেলে না ছাড়পত্র ও প্রেসক্রিপশন। বকশিসের নামে এমন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সেবা নিতে আসা রোগীরা। প্রতিটি বিভাগেই টাকা ছাড়া যেন সেবা মেলেনা গরিবের চিসিৎসালয় খ্যাত মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে।

বকশিসের নামে এহেন চাঁদাবাজির কথা অকপটে শিকার করলেন হাসপাতালে উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক আজিরন নেছা। তিনি বলেন, আমরা বার বার বলেও এগুলো থামাতে পারছি না। তাদের যেহেতু কোনো বেতন নেই, তারা স্বেচ্ছাসেবী হয়ে কাজ করেন। তবে তাদের বলেছি, কেউ যদি খুশি হয়ে দেয় তাহলে টাকা নেয়া যাবে, তা না হলে নেয়া যাবে না।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নবনিযুক্ত তত্ত্বাধায়ক শাহরিয়ার শায়লা জাহান বলেন, আমি নতুন এসেছি। আমাকে কিছুদিন সময় দিন। আমি আমার সর্বচ্চ চেষ্টা করব সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আবারও ট্রাম্পের সমালোচনায় ইলন মাস্ক

আবারও ট্রাম্পের সমালোচনায় ইলন মাস্ক

রাজস্বকর্মীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’: সারাদেশে অচল ব্যবসা-বাণিজ্য

রাজস্বকর্মীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’: সারাদেশে অচল ব্যবসা-বাণিজ্য

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ

ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘থাড’ ইন্টারসেপ্টরের ২০ শতাংশ শেষ

ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘থাড’ ইন্টারসেপ্টরের ২০ শতাংশ শেষ

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App