ফিলিস্তিনের জন্য ইসরায়েলকে ত্যাগ করছে যুক্তরাষ্ট্র

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধ না করলে ইসরায়েলকে ত্যাগ করবে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজামিন নেতানিয়াহুকে আর সমর্থন করবে না তারা। বিষয়টি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনরা। এমন চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধ না থামালে আমরা তোমাদের ছেড়ে দেবো। ইসরায়েলকে স্পষ্ট করে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা। সূত্রটির দাবি, যুদ্ধ বন্ধ করার যথেষ্ট রাজনৈতিক সক্ষমতা রয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর। কিন্তু ইচ্ছা করেই সংঘাত বাঁধিয়ে রাখছেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্তই করেননি ট্রাম্প। আবার দেশটি সফরও করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা নেতানিয়াহুর ওপর চাপের আরেকটি ইঙ্গিত। গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশে সম্মতি দিতেও ইসরায়েলের ওপর চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প শিবির।
’ক্ষুধার্ত শিশু ও মরতে থাকা মানুষের ছবি আমাদের মিত্ররাও সহ্য করতে পারছে না’-এমন মন্তব্য করে সীমিত আকারে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেন নেতানিয়াহু। সেটাও বেশ আগে। ১৮ মে রাতে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তকে ‘কেবল কৌশলগত বিষয়’ বলে তুলে ধরেন নেতানিয়াহু। এভাবে রাজনৈতিক দায় এড়িয়ে গেছেন তিনি।
কিছুদিন আগে থেকেই ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলিদের এমন হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্পের লোকজন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠজনরা মনে করেন, নেতানিয়াহু এখন এমন অবস্থানে পৌঁছেছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রভাব খাটাচ্ছেন তিনি। তার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে মার্কিন মুলুকও।
ফলে সরাসরি নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে ইসরায়েল সফর বাতিল বা পিছিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
কূটনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প শিবিরের অসন্তোষের একটি বড় ইঙ্গিত এটি। নেতানিয়াহুকে এখন আর মিত্র হিসেবে দেখে না মার্কিন প্রশাসন। ইসরায়েলের 'অন্ধ সমর্থকও' নয় যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় নতুন করে শুরু করা সামরিক অভিযান বন্ধ না করলে এবং ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ত্রাণ প্রবেশে বাধা সরিয়ে না নিলে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স।