তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুঁশিয়ারি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৯:৪০ এএম

চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।ছবি : সংগৃহীত
স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উত্তাপ আবারও বেড়েছে। এমনকি দ্বীপটিতে বেইজিং আক্রমণ করলে ওয়াশিংটন সামরিকভাবে রক্ষা করবে বলেও অতীতে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অতিসম্প্রতি এই ইস্যুতে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ার করে বলেছে, ‘তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলবেন না, এটি একান্তই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
চীনের এই প্রতিক্রিয়া এসেছে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা ডায়ালগে চীনকে ‘এশিয়ার জন্য হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি চীনকে অভিযুক্ত করেন, তারা ‘তাইওয়ান আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে’ এবং ‘এশিয়ার শক্তির ভারসাম্য পাল্টে দেওয়ার মত সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হেগসেথের বক্তব্যকে উসকানিমূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে আখ্যায়িত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন ‘তাইওয়ানকে চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে।’ একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলা হয়, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য আমরাই সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে আপনাদের দেখছি।’
বেইজিং আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে অস্ত্র মোতায়েন ও টহলের মাধ্যমে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে, যা এই অঞ্চলের শান্তির জন্য হুমকি। চীন অভিযোগ করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘শীতল যুদ্ধের মানসিকতা ও গোষ্ঠী রাজনীতির মাধ্যমে এশিয়াকে বিভাজিত করছে।’
চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বলেও জানা গেছে।
আরো পড়ুন : এবার পশ্চিমতীর দখলের ঘোষণা ইসরায়েলের
এদিকে, দক্ষিণ চীন সাগর ঘিরেও চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ওই অঞ্চলের কিছু দ্বীপ ও প্রবালপ্রাচীর নিয়ে দুই দেশের কোস্টগার্ড প্রায়ই মুখোমুখি অবস্থানে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র নৌ চলাচলের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিলেও চীন বলছে, তারা আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় কাজ করছে।
চীনের ভাষ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার সবচেয়ে বড় বাধা যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুনের অনুপস্থিতিতে এবারের শাংরি-লা সম্মেলনে দেশটির নিম্নপদস্থ প্রতিনিধি দল পাঠানোও এই উত্তেজনার প্রতীক। উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে এ সম্মেলন স্থগিত থাকলেও ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার চীন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নিল না।