আওয়ামী লীগ আমলের তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিটিকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি অতীতের নির্বাচনে সম্ভাব্য অনিয়ম, প্রশাসনিক পক্ষপাত কিংবা ভোটারদের অধিকার হরণের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। সে অনুযায়ী আগামী নির্বাচন আরও নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার সুপারিশ পেশ করবে।
বাংলাদেশের সবশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পর্যবেক্ষক এবং বিরোধী দলের কাছে সমালোচনার মুখে পড়ে। বিশেষ করে ২০১৪ সালে বিএনপি ও শরিকদের বর্জনের পর ভোটে ব্যাপক অনুপস্থিতি এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনের দিন সহিংসতা ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ভোট ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরানো সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি কেন্দ্র করেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ধরনের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি জনআস্থা ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, যদি কার্যক্রম স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য হয়।
মূলত যেসব বিষয় যাচাই-বাছাই করবে:
# ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি, প্রশাসনিক পক্ষপাত এবং সহিংসতার অভিযোগ
# নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও সক্ষমতা
# রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ এবং বিরোধীদলের অভিযোগ
# ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা
# নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে সম্ভাব্য সুপারিশ প্রণয়ন, যাতে আগামী নির্বাচনগুলোতে জনআস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
কারা থাকছেন কমিটিতে
কমিটির সদস্যদের নাম ও পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এতে সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় বুদ্ধিজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে।