একাকিত্বে ভোগেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৩ এএম

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবি : সংগৃহীত
বলিউড থেকে হলিউড- দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই দাপটের সঙ্গে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অগণিত অনুরাগী, একের পর এক সুপারহিট ছবি আর বিশ্বজোড়া খ্যাতি; সবকিছু থাকা সত্ত্বেও জীবনের এক পর্যায়ে তীব্র একাকিত্বে ভুগেছিলেন এই ‘দেশি গার্ল’।
প্রিয়াঙ্কার খ্যাতি তখন তুঙ্গে। একের পর এক সুপারহিট ছবি-‘ব্লাফমাস্টার’-এ অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে জুটি। শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, হৃতিক রোশনের সঙ্গে পরপর ছবিতে অভিনয়। বলিউডের শীর্ষ নায়িকাদের তালিকায় নিজের নাম সবার ওপরে তুলে ফেলেছিলেন তিনি।
কিন্তু এই জাঁকজমক আর গ্ল্যামারের আড়ালেই লুকিয়ে ছিল প্রিয়াঙ্কার নিঃসঙ্গতা। ২০০৫ সালের এক সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছিলেন সেই কথাগুলো।
প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছিলেন, সেই সময় বলিউডে তার পরিচিত মানুষের সংখ্যা ছিল লক্ষ লক্ষ। অথচ এমন একজনও ছিল না, যাকে তিনি রাতের অন্ধকারে ফোন করে মন খুলে বলতে পারেন সব কথা।
আরো পড়ুন : ‘সাইয়ারা’র নায়িকা সম্পর্কে অজানা তথ্য
তিনি বলেছিলেন, বলিউডে আমার তখন পরিচিত মানুষের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। কিন্তু তাদের মধ্যে একটিও বন্ধু ছিল না। এমন কেউ ছিল না, যাকে মধ্যরাতে ফোন করা যায় এবং যার কাছে নিজের মন খুলে কথা বলা যায়।
এই সময়ে তার বাবা অশোক চোপড়া যকৃৎ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাবার অসুস্থতা আর একার লড়াই— সব মিলিয়ে আলো-ঝলমলে দুনিয়ার মধ্যে থেকেও নিঃসঙ্গ ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তখন বিনোদন জগতে নতুনদের সঙ্গে গা-ছাড়া ব্যবহারের অভিযোগ ছিলই। প্রিয়ঙ্কা সেই ইন্ডাস্ট্রিতে একা লড়াই করে জায়গা তৈরি করেছিলেন। পারিবারিক কোনো বলয় বা গ্রুপ ছিল না তার। ফলে সাফল্যের শীর্ষে থেকেও প্রকৃত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি সহজে।
তবে এক কথা সকলেই মানতেন- প্রিয়াঙ্কার মধ্যে সম্ভাবনা অফুরন্ত। প্রযোজক সুনীল দর্শন তখন বলেছিলেন, আমার অফিসে এসেছিল ও। ১৫ মিনিট দেখেই বুঝে যাই, আমি আরেকটা রেখাকে খুঁজে পেয়েছি। তখন বিশ্বজোড়া পরিচিতি পাওয়ার কথা হয়তো ও ভাবেনি, কিন্তু হিন্দি ছবিতে যে ও সুপারস্টার হবে, তা জানত।
আজ সেই একাকিত্ব পেছনে ফেলে প্রিয়াঙ্কা শুধু বলিউড নয়, হলিউডেও শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও সুখী তিনি— স্বামী নিক জোনাস আর কন্যা মালতী মারির সঙ্গে গড়ে তুলেছেন নতুন এক ভরসার বৃত্ত।