স্থায়ী ক্যাম্পাস ফেরতের দাবি
বিআইএইচএস নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম

বিআইএইচএস নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
স্থায়ী ক্যাম্পাস ফিরিয়ে দেওয়া এবং শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেস (বিআইএইচএস) নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রায় তিন মাস ধরে ক্লাস বন্ধ থাকা, অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা এবং অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্যাম্পাস নিয়ে বিরোধের কারণে শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ভর্তির সময় যে আধুনিক ক্যাম্পাস ও ক্লাসরুমের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার কিছুই এখন অবশিষ্ট নেই। প্রায় তিন মাস ধরে তাদের ক্লাস ও সকল প্রকার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী অমিত চন্দ্র বলেন, "ক্যাম্পাসে তালা ঝুলছে, আমরা ভেতরে ঢুকতে পারছি না। আমাদের ল্যাব, টিচার্স রুম— একজন নার্সিং শিক্ষার্থীর জন্য যা যা প্রয়োজন, তার কিছুই এখন নেই।"
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসের মধ্যেই থাকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস (বিইউএইচএস)-এর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে। কয়েক দিন ধরে বিইউএইচএস-এর শিক্ষার্থীরা তাদের এবং শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ তোলেন তারা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আরও জানান, সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তারা বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বারডেম) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম. কে. সাইফুদ্দিন এবং বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেছেন। এমনকি তারা বিষয়টি দেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নজরে এনেছেন বলেও দাবি করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, "সবাই আমাদের শুধু প্রতিশ্রুতিই দিচ্ছেন, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান পাচ্ছি না।"
শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে থাকা দলিলের কথা উল্লেখ করে বলেন, ক্যাম্পাসের জমির ৫০ শতাংশের মালিকানা তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা সত্ত্বেও তারা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "কর্তৃপক্ষ ठोस পদক্ষেপ না নিলে আমাদের পক্ষে এই সংকট থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়।"
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অমর ফারুক বলেন, “আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে আমাদেরকে অসম্মানজনকভাবে বের করে দেওয়া হয়েছে। এটি আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস, কিন্তু এখন আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছি না। আমরা অনতিবিলম্বে আমাদের ক্যাম্পাস ফিরিয়ে চাই; নতুবা আমরা কঠোর আন্দোলনের পথে যাব।”
দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তারা অবিলম্বে একটি কার্যকরী ও স্থায়ী সমাধান এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।