৯ দিনব্যাপী প্রদর্শনী
মণিপুরী জীবনচিত্রের আলোকপ্রদর্শনী বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৯ পিএম
মণিপুরী জীবনচিত্রের আলোকপ্রদর্শনী বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ৯ দিনব্যাপী প্রদর্শনী
বাংলাদেশের বহুধা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ভাণ্ডারে মণিপুরী জনগোষ্ঠী এক অনন্য নন্দনশীল পরিচয়ের ধারক। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শান্ত প্রকৃতি আর গভীর ঐতিহ্যের ভিতরে গড়ে ওঠা এই নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায় তাদের ভাষা, আচার–অনুষ্ঠান, নৃত্য–সংগীত, কারুশিল্প ও জীবনযাত্রার মাধ্যমে দেশের জাতীয় সংস্কৃতিকে করেছে সমৃদ্ধ। সময়ের সাথে নানা পরিবর্তন এলেও নিজের স্বকীয়তা অটুট রেখে তারা আজও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।
মণিপুরী জনগোষ্ঠীর এই স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত জীবনযাত্রা ফ্রেমবন্দি করেছেন তিন আলোকচিত্রী মো. কাউছার হাবিব সোমেল, মোহা: আসহাবুল হক নান্নু ও মোহাম্মদ হারুন আর রশীদ। তাদের তোলা ১০২টি আলোকচিত্র নিয়ে ৯ দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আর্ট গ্যালারিতে।
আজ শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় ‘মণিপুরী: এন এথনিক কমিউনিটি অব বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী আয়োজনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতজন শংকর সাওজাল, আলোকচিত্রী নাফিস আহমেদ নাদভী এবং আলোকচিত্রী হাসান সাইফুদ্দিন চন্দন।
উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪০১ নম্বর মিলনায়তনে খ্যাতিমান ও নবীন আলোকচিত্রীদের উপস্থিতিতে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি প্রদর্শনীর একই শিরোনামে একটি ক্যাটালগের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
১২ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪০২ নম্বর আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শনীটি সকল দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চলমান একটি মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। মেন্টরশিপ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বিশিষ্ট প্রশিক্ষক ও আলোকচিত্রী কে এম জাহাঙ্গীর আলম এবং সার্বিক সমন্বয় করেছেন আলোকচিত্রী ও সংগঠক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।
প্রদর্শনীতে দেখা যাবে মণিপুরী জীবনের সূক্ষ্ম নান্দনিকতা ও মাধুর্য। শ্রীভূমির প্রকৃতি, সবুজের সমারোহ, গৃহস্থালির ব্যস্ততা, নারীদের বয়নচক্রে সুতো কাটার দৃশ্য, কৃষিকাজ ও ধর্মীয় প্রস্তুতি এবং শিশুদের হাসিখুশি দিনযাপনের রঙিন চাঞ্চল্য—সব মিলিয়ে এক প্রশান্ত জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে প্রতিটি ফ্রেমে। ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও আচার–অনুষ্ঠানের ছবি স্মরণ করিয়ে দেয় যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই একটি জাতির আসল সৌন্দর্য।
