তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি চরমে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম

টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা। ছবি : সংগৃহীত
মাত্র তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে আবারও পানির নিচে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এতে নগরীর কোনো কোনো সড়কে কোমর সমান, আবার কোথাও হাঁটু পানি জমেছে।
জলাবদ্ধতার কারণে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ, এইচএসসি পরীক্ষার্থী আর দিনমজুরেরা। অনেক এলাকায় দোকানপাটেও ঢুকেছে পানি।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ও নগরীর আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।
আরো পড়ুন : চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা
এতে কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, পাঁচলাইশ, প্রবর্তক মোড়, জিইসি, মুরাদপুর, একে খান গেইট, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, তিন পোলের মাথা, রিয়াজুদ্দিন বাজার, হেমসেন লেন, জুবিলী রোড- সর্বত্র পানি জমে যায়।
কাতালগঞ্জে সড়কে কোমর সমান পানি, তিন পোলের মাথা এলাকায় হাঁটু পানি। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা বলছেন, মাসে মাসে এমন জলাবদ্ধতা যেন নিয়মিত দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
সোমবার সকালের ভারী বৃষ্টির পর নগরীর কয়েকটি এলাকা ও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা ৫০ শতাংশ কমেছে, বাকি সমস্যাও সময়ের মধ্যে সমাধান হবে। সিডিএ ৫৭টি খালের মধ্যে ৩৬টির কাজ করছে। এর মধ্যে ২২টির কাজ শেষ। বাকি ১৪টির কাজ দ্রুত শেষ হবে।
তিনি জানান, বর্ষাকাল শেষ হলে সড়কগুলো উঁচু করার কাজ হবে। আগ্রাবাদ এলাকায় বক্স কালভার্টের কাজ শেষ হলে সেখানকার জলাবদ্ধতাও কমবে।
নগরীর কয়েক দশকের পুরনো জলাবদ্ধতা নিরসনে চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সিডিএ’র ৮,৬২৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প। ৩৬টি খালের মধ্যে ২৫টির কাজ পুরোপুরি শেষ হলেও হিজড়া খালের কাজ এখনো শেষ হয়নি, যা কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশ ও মুরাদপুরের জলাবদ্ধতার মূল কারণ বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।
আগ্রাবাদের প্রায় তিন কিলোমিটার বক্স কালভার্টটি আবর্জনায় ভরাট হয়ে আছে — সেটি পরিষ্কারের কাজ চলছে।