পোশাক খাতে সুখবর, পরিবেশবান্ধব সনদ পেল আরো ৪ কারখানা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১২:৫০ পিএম

‘লিড’ সনদপ্রাপ্ত গার্মেন্টস কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৮টি। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়ন যাত্রায় যুক্ত হলো আরো এক উজ্জ্বল পালক। দেশের চারটি পোশাক কারখানা সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত ‘লিড’ সনদ অর্জন করেছে। এর ফলে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত ১০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৯টিই এখন বাংলাদেশে।
এই নতুন অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ‘লিড’ সনদপ্রাপ্ত গার্মেন্টস কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৮টিতে। এর মধ্যে ১০৫টি পেয়েছে ‘প্লাটিনাম’ এবং ১২৯টি পেয়েছে ‘গোল্ড’ সনদ। পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সামনে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
নতুন যে চারটি কারখানা এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে তার মধ্যে রয়েছে- মানিকগঞ্জের ফুকুরিয়ায় অবস্থিত অ্যাডভান্স অ্যাটায়ার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ‘লিড বিডি+সি : নতুন নির্মাণ (সংস্করণ ৩ – লিড ২০০৯)’ ক্যাটাগরিতে ৯৬ পয়েন্ট অর্জন করে প্লাটিনাম সনদ লাভ করেছে।
নরসিংদীর পাঁচদোনায় অবস্থিত আমানত শাহ ফেব্রিকস লিমিটেড (ওভেন কম্পোজিট ইউনিট) অর্জন করেছে ‘লিড ও+এম : বিদ্যমান ভবন (সংস্করণ ৪.১)’ ক্যাটাগরির প্লাটিনাম সনদ, যেখানে প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে ৮২ পয়েন্ট।
আরো পড়ুন : ৫ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা
গাজীপুরের টঙ্গীর রাজনগরে অবস্থিত কটন ফিল্ড বিডি লিমিটেড (প্রোডাকশন বিল্ডিং), ‘লিড বিডি+সি : নতুন নির্মাণ (সংস্করণ ৪)’ ক্যাটাগরিতে ৮৩ পয়েন্ট অর্জন করে প্লাটিনাম স্বীকৃতি পেয়েছে।
চতুর্থ কারখানাটি হলো ঢাকার উত্তরখানের চানপাড়ায় অবস্থিত কেএম অ্যাপারেল নিট প্রাইভেট লিমিটেড। এটি ‘লিড বিডি+সি : নতুন নির্মাণ (সংস্করণ ৪)’ ক্যাটাগরিতে ৬২ পয়েন্ট অর্জন করে গোল্ড সনদ লাভ করেছে।
বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি ‘লিড’ রেটেড কারখানার মধ্যে ৬৮টিই বাংলাদেশে অবস্থিত। পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো, জ্বালানি ও পানি সাশ্রয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কর্মীদের স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত এই অর্জনের মাধ্যমে বৈশ্বিকভাবে আরো স্বীকৃতি পেল।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এটি আমাদের জন্য গর্বের। বাংলাদেশ এখন সবুজ শিল্প গঠনে বিশ্বের সামনে একটি রোল মডেল হয়ে উঠেছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা যেমন বাড়বে, তেমনি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আমাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, লিড সনদ মানে কেবল পরিবেশ রক্ষা নয়, বরং এর মাধ্যমে টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত হয় যা কর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
এই অর্জন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে আরো সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাবে, এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।