লালমনিরহাট
এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার এন্তাজুর রহমান ও এ.কে.এম ফজলুল হকের ব্যতিক্রমী সাফল্য

রবিউল ইসলাম বাবুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম

এ.কে.এম ফজলুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী, আদিতমারী ও এন্তাজুর রহমান, সদর উপজেলা প্রকৌশলী, লালমনিরহাট। ছবি: ভোরের কাগজ
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়ন করেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এই সফল উদ্যোগের মূল কারিগর হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছেন সদর উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এন্তাজুর রহমান এবং আদিতমারী উপজেলার প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল হক।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সড়ক উন্নয়ন, ড্রেনেজ, কালভার্ট, আরসিসি রাস্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো, নলকূপ স্থাপন, সেলাইমেশিন বিতরণসহ নানা প্রকল্পের সুফল। চলতি অর্থবছরে সদর উপজেলার জন্য মোট ৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দের মধ্যে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা টেন্ডার এবং ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পিআইসি কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে ১৯টি প্যাকেজে এ কাজ সম্পন্ন হয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ জুনের মধ্যেই সদর ও আদিতমারী উপজেলায় সব প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এতে দুই উপজেলার প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান ও ফজলুল হকের দক্ষ তদারকি এবং সততা বড় ভূমিকা রেখেছে। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কাজের মান ও গতিতে এসেছে শৃঙ্খলা, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সন্তুষ্টি তৈরি করেছে।
এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, “এতো সুষ্ঠু ও দ্রুত গতিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন বহুদিন পর দেখলাম। প্রকৌশলী সাহেবরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকুক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
অন্যদিকে জেলার অন্যান্য তিন উপজেলা—পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের আশঙ্কা, প্রক্রিয়াগত অসঙ্গতির কারণে সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান ও আদিতমারী উপজেলার প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল হক জানান, “আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব কাজ শেষ করেছি। যে কেউ চাইলে সরেজমিনে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করতে পারেন।”
প্রসঙ্গত, এসব প্রকল্পের তদারকি ও অনুমোদন স্থানীয় কমিটি এবং প্রশাসনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় হয়েছে, যা প্রকল্পগুলোর গুণগত মান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে। জেলা পর্যায়ের বিশিষ্টজনেরা আশা প্রকাশ করেছেন, লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী উপজেলায় এলজিইডির এই সাফল্য আগামী দিনের উন্নয়নের অনুকরণীয় মডেল হয়ে উঠবে।