আইরিশদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হবে, এমন ধারণা ছিল অনেকের। তবে সেই হিসাব পাল্টে দিয়ে রোববার ৫৯.২ ওভার ব্যাট করল আয়ারল্যান্ডের টেল এন্ডাররা। এর মধ্যেই ৭১ রানে অপরাজিত কার্টিস ক্যাম্ফার গড়লেন মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ বল (২৫৯) খেলার রেকর্ড। তবুও অনেক অপেক্ষার পর ২১৭ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেলো স্বাগতিক বাংলাদেশ।
শনিবার চতুর্থ দিনের শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৭৬। সেখান থেকেই আজ ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত টিকে ছিলেন তাদের চার ব্যাটার। আগের দিন টপ ও মিডল অর্ডার খেলেছিল ৫৪ ওভার, আজ বাকি ৪ ব্যাটার খেললেন আরো ৫৯ ওভার। এর আগে সিলেটে বাংলাদেশ ইনিংস বড় ব্যবধানে জিতেছিল। ফলে দুই ম্যাচের লাল বলের সিরিজ শেষ হলো বাংলাদেশে ২-০ ব্যবধানে।
এর আগে মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১২ বল খেলার রেকর্ড ছিল সাকিব আল হাসানের। সেই রেকর্ড ভেঙে ২৫৯ বলে প্রথম টেস্ট ফিফটি তুলে নেন ক্যাম্ফার। আন্তর্জাতিক টেস্টে এর আগে তার একটি সেঞ্চুরি ছিল। আজ অর্ধেক দিনের বেশি সময় আয়ারল্যান্ডকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখার বড় কৃতিত্ব তার। ম্যাকব্রাইনের সঙ্গে ১০৫ বলে ২৬, জর্ডান নিলের সঙ্গে ৮৫ বলে ৪৮ এবং নবম উইকেটে গ্যাভিন হোয়ের সঙ্গে ১৯১ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
আরো পড়ুন : টেস্টে ২৫০ উইকেট নিয়ে নতুন উচ্চতায় তাইজুল
এর আগে চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৯৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসের ২১১ রানের লিড মিলিয়ে আইরিশদের লক্ষ্য দেয় ৫০৯ রান। প্রায় অসম্ভব সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে দিন শেষ করে সফরকারীরা।
আজ দিনের ১৪তম ওভারে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে এলবিডব্লিউ করে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাইজুল ইসলাম। তার আঘাতেই ভাঙে ক্যাম্ফার–ম্যাকব্রাইনের ২৬ রানের জুটি।
এরপর ক্যাম্ফার–নিল জুটি যোগ করে আরো ৪৮ রান, যা ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৩৭ রানে ৮ উইকেট পড়ার পরই বাংলাদেশ দ্রুত জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু ক্যাম্ফার নবম উইকেটে হোয়েকে সঙ্গে নিয়ে আরও শক্ত হয়ে দাঁড়ান। ড্রয়ের শঙ্কা তৈরি হতেই ১৯১ বলে ৫৪ রানের জুটি ভেঙে দেন হাসান মুরাদ হোয়েকে এলবিডব্লিউ করে। ১০৪ বলে ৩৭ রান করেন এই লেগস্পিনার। পরের বলেই বোল্ড হন শেষ ব্যাটার ম্যাথু হাম্প্রিস। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ এবং ম্যাচে ৬ উইকেট পান অভিষিক্ত মুরাদ। তাইজুলও নেন ৪ উইকেট, দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮টি। দুই টেস্ট মিলিয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন এই বামহাতি স্পিনার।
এদিকে, মিরপুর টেস্টে নিজের ১০০তম ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ড গড়ে আলো ছড়ান মুশফিকুর রহিম। বিশ্বের মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে দুই ইনিংসেই পঞ্চাশোর্ধ রান (১০৬ ও ৫৩*) করে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
বাংলাদেশের দাপুটে পারফরম্যান্সে শেষ হলো সিরিজ, আয়ারল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল শান্তর দল।
