শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ৫ অভিযোগ আনা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়, ষড়যন্ত্র, উস্কানি, হত্যা, পরিকল্পনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে আনা প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ই জুলাই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনকারীদের 'রাজাকারের বাচ্চা', 'রাজাকারের নাতি-পুতি' বলে উল্লেখ করেন।
পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের 'প্ররোচনা, সহায়তা, সম্পৃক্ততায়' আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র 'আওয়ামী সন্ত্রাসী'রা ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে। প্ররোচনা, উস্কানি, অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধে ব্যর্থতা, ষড়যন্ত্রের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে এতে।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের 'হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ' দিয়েছেন। যা বাস্তবায়ন করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তৃতীয় অভিযোগটি আনা হয়েছে। শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে প্ররোচনা, উস্কানি, ষড়যন্ত্র, সহায়তা, সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে এই অভিযোগে। চার নম্বরে গত বছরের পাঁচই অগাস্ট ঢাকার চাঁনখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আন্দোলনকারী ছয় জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উস্কানি, সহায়তা, ষড়যন্ত্র ও সম্পৃক্ততার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামি। পঞ্চম অভিযোগ, তিন আসামির বিরুদ্ধে আশুলিয়ায় নিরীহ-নিরস্ত্র ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।