স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির আলোচিত ঠিকাদার মিঠু গ্রেপ্তার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১০ পিএম

স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অন্যতম হোতা মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অন্যতম হোতা মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার (মিঠু) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা রয়েছে। দুদকের চাহিদাপত্রের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবারই তাকে দুদকে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে জড়িত স্বাস্থ্যখাতের এই আলোচিত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে জানা যায়, লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইস ও টেকনোক্রেট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মিঠু কৃষিজমি ক্রয়, জমি লিজ, প্লট, ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মাণে ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে শেয়ার ও বিনিয়োগ, গাড়ি ক্রয়, ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী মিলিয়ে আরো প্রায় ৫৭ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা।
আরো পড়ুন : গুলশান থানার সাবেক ওসি আমিনুল গ্রেপ্তার
এ ছাড়া মিঠুর নামে পারিবারিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সম্পদ ও ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের হিসাব দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪৭ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া গেছে প্রায় ৭১ কোটি টাকা। ফলে বাকি ৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। এজন্য দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রকাশিত বহুল আলোচিত পানামা পেপারসে নাম আসে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর। অভিযোগ রয়েছে, তার মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ও উন্নয়নকাজের নামে প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন।