ই-অরেঞ্জের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৩ এএম

ই-অরেঞ্জ লোগো
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জ শপ-এর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও কর্মকর্তাসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার সিএমএম (গুলশান আমলী) আদালত বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আল-আমিন নামের এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/১০৯/৫০৬ ধারায় এই সিআর মামলা (নং-৫০১২/২০২৫) দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী ই-অরেঞ্জ শপের বহুল প্রচারিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৭১ হাজার ৬০৩ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল এবং মোবাইল ফোন অনলাইন ভাউচারের মাধ্যমে ক্রয় করেন। প্রতিষ্ঠানটি ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
এজাহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে ই-অরেঞ্জ ব্যর্থ হয়। বারবার যোগাযোগ করার পর আসামিরা পণ্য সরবরাহের পরিবর্তে পাওনা টাকা নগদে পরিশোধের আশ্বাস দেন। তবে ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিভিন্ন তারিখে আপোষ-মীমাংসার কথা বলে কালক্ষেপণ করা হয় এবং পাওনা টাকা পরিশোধ না করে বাদীর সাথে প্রতারণামূলক আচরণ করা হয়, যা অর্থ আত্মসাতের শামিল।
সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বাদী আসামিদের গুলশানের ব্যবসায়িক ঠিকানায় আপোষের কথা বলতে গেলে, আসামিরা তাকে ও সাক্ষীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জীবননাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়। বাদীর অভিযোগ, এ সময় আসামিদের সাথে ১০/১৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি উপস্থিত ছিল।
বাদী প্রথমে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তাকে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। এরই প্রেক্ষিতে আদালতে মামলাটি দায়ের করা হলে, বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ৬ আসামির বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকৃত ৬ আসামি হলেন সোনিয়া মেহজাবিন (৩২), মোঃ মাসুকুর রহমান (৪০), শেখ সোহেল রানা ওরফে ওসি সোহেল রানা (৩৯), নাজমা সুলতানা পিয়া ওরফে বেগম নাজমা সালাম ওরফে নাজমা বেগম (৬৫), মোহাম্মদ জায়েদুল হক ফিরোজ (৫৫), মোঃ আমানউল্লাহ চৌধুরী (৪৫)।