মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন
যেভাবে গ্রেপ্তার হলো সেই গৃহকর্মী
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
মূল আসামি গৃহকর্মী আয়েশা। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়ে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) হত্যার ঘটনায় মূল আসামি গৃহকর্মী আয়েশাকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তি সহায়তা এবং গোপন সংবাদভিত্তিক অনুসন্ধান শেষে গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি নলছিটি এলাকায় তার দাদা শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। আয়েশাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
ঘটনার সময় লায়লা আফরোজের স্বামী, স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম, উত্তরায় নিজের কর্মস্থলে ছিলেন। তিনি জানান, বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তে ভেজা লাশ দেখেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে জোড়া হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন তিনি।
আরো পড়ুন : মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় সেই গৃহকর্মী গ্রেপ্তার
মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি উত্তরায় স্কুলে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তে ভেজা লাশ দেখেন। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান।
বাদী এজাহারে আরো বলেন, অজ্ঞাত কারণে গৃহকর্মী আয়েশা তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেছেন।
সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মেয়ে নাফিসার শরীরে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে লায়লা ও তার মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নেয়া হয়। জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।
