হাদি হত্যার আসামি পালিয়েছে, পুলিশের স্বীকারোক্তি
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলার মূল অভিযুক্ত ফয়সাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। প্রধান অভিযুক্ত ফয়সালসহ আরো একজন ময়মনসিংহ দিয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি। তাদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যেই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরো জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
আরো পড়ুন : শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডে হামলার শিকার হন শরিফ ওসমান হাদি। মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার অজ্ঞাতপরিচয় সহযোগী চলন্ত অবস্থায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা ও বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। পরে হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর আদালতের আদেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।
