দর্শক হৃদয়ে আজও অমর কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৬ এএম

ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ। ছবি : সংগৃহীত
তার অভিনয় দক্ষতা যেমন ছিল অনন্য, তেমনি তার স্টাইলও ছাপিয়ে গিয়েছিল যুগকে। এ প্রজন্মের তারকাদের কাছেও অনুপ্রেরণার নাম তিনি। মাত্র ২৫ বছরের জীবনে দেশের চলচ্চিত্রে নতুন ধারা সূচনা করেছিলেন তিনি। তিনি ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের আজকের দিনে সবাইকে বিস্মিত করে না ফেরার দেশে চলে যান সালমান শাহ। মৃত্যুর এত বছর পরও তিনি দর্শক হৃদয়ে বেঁচে আছেন। তবে চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষ, সহকর্মী কিংবা ভক্তদের কাছে তার মৃত্যু আজও এক রহস্য।
নব্বইয়ের দশকের বাংলা চলচ্চিত্রে ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব ঘটিয়েছিলেন সালমান। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমা উপহার দেন তিনি। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি কেয়ামত থেকে কেয়ামত দিয়েই জয় করেন দর্শকের মন। এরপর একে একে উপহার দেন দেন মোহর, তোমাকে চাই, বিক্ষোভ, আনন্দ অশ্রু, চাওয়া থেকে পাওয়া, বিচার হবে, জীবন সংসার, মহামিলন, স্বপ্নের ঠিকানাসহ বহু হিট সিনেমা।
আরো পড়ুন : ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার অবনতি
অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম স্মৃতিচারণ করে বলেন, সালমান অনেক বড় মাপের শিল্পী ছিল। কাজের প্রতি ভীষণ মনোযোগী ছিল সে। আমাদের ভাগ্য খারাপ, ওকে অল্প দিনেই হারাতে হলো।
কণ্ঠশিল্পী আগুনও স্মৃতিচারণ করে জানান, তাদের দুজনের ক্যারিয়ার একসঙ্গে শুরু হয়েছিল। সেসময় সালমান মানে আগুন, আর আগুন মানেই সালমান ছিল। এখনো ওর অভাব অনুভব করি।
তবে দুঃখের বিষয়, মৃত্যুর এত বছর পরও সালমান শাহর নামে কোনো শুটিং ফ্লোর, রাস্তা বা এফডিসিতে স্থাপনা হয়নি। অথচ মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারেই তিনি প্রমাণ করেছিলেন, বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন এক নতুন ধারার সূচনাকারী।
তার জীবদ্দশায় মুক্তি পেয়েছিল ২১টি সিনেমা, আর মৃত্যুর পর মুক্তি পায় আরো ৬টি। তবুও সালমান শাহ রয়ে গেছেন দর্শকের অন্তরে। মৃত্যুর রহস্য আজও অমীমাংসিত হলেও স্মৃতির আয়নায় তিনি এখনো উজ্জ্বল, অমর এক নায়ক হিসেবে।