একনেকে ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:০০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আট হাজার ৯৭৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সভায় জানানো হয়, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১৮০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৩ লাখ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ ও পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো:
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়: উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়), বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় জনসমাজের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ৭টি বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়: ৪টি নতুন মেরিন একাডেমিতে সিমুলেটর স্থাপন।
আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়: নারীর বিচারপ্রাপ্তির সুযোগ বাড়াতে অ্যাকসেস টু জাস্টিস ফর উইমেন প্রকল্প।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়: তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন (২য় সংশোধিত)।
শিল্প মন্ত্রণালয়: সার সংরক্ষণ ও বিতরণে ১৩টি নতুন বাফার গোডাউন নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়: কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন ও নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিকারে কুইক রেসপন্স টিম কার্যক্রম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়: টিটিএফ (টিভেট টিচারস ফর দ্য ফিউচার) কর্মসূচি।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়: দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প।
এছাড়াও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন বাজেট ব্যবস্থাপনা, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, ক্রয় পদ্ধতির আধুনিকায়ন এবং পরিসংখ্যান সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।