![]() |
কৃষি উপদেষ্টা
নভেম্বর পর্যন্ত সারের ঘাটতি হবে না, সরকার সব দেনা শোধ করেছে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১২:৫২ পিএম

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই এবং নভেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে দেশের সারের সব দেনা শোধ করেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের কাছে এখন কেউ সারের টাকা পাবে না। নভেম্বর পর্যন্ত যে মজুত রয়েছে, তাতে কোনো ঘাটতির আশঙ্কা নেই।
সারের লাইসেন্স নিয়ে যেসব অনিয়ম ও ঝামেলা ছিল, সেসব বন্ধ করতে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, যারা সারের লাইসেন্স নিয়ে সমস্যা করেছে, তাদের বাদ দিয়ে নতুন লাইসেন্স দেয়া হবে। প্রকৃত ডিলাররাই যেন লাইসেন্স পান, তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন : মালয়েশিয়া সফরে ড. ইউনূস : প্রতিরক্ষা চুক্তিসহ নতুন বাণিজ্য-সমঝোতার সম্ভাবনা
এ সময় তিনি জানান, সারাদেশে ১০০টি মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের কাজ চলছে, যা আগামী মৌসুমের আগেই চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগে যন্ত্রপাতি কেনায় নানা অনিয়ম হতো, আমরা সব কাগজপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠিয়েছি।
আলু ও পেঁয়াজ নিয়ে সরকারের প্রস্তুতির কথাও জানান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, কৃষকরা যেন ন্যায্য দাম পান, সে জন্য ওএমএসের (খোলা বাজারে বিক্রি) মাধ্যমে আলু বিতরণের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এবার পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়নি, যা ইতিবাচক।
কৃষি উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে এবং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা।