ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৩৪

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় তেলঙ্গানা রাজ্যের সাঙ্গারেড্ডি জেলার পাসামিলারাম শিল্প এলাকায় একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩৫ জন। হতাহতদের অধিকাংশই কারখানার শ্রমিক। সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানা রাজ্যের সিগাচি কেমিক্যালস কারখানায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার ছাদ উড়ে গিয়ে ১০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। ওই সময় কারখানায় প্রায় ৯০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন।
তেলঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী দামোদর রাজানরসিং জানান, অনেক মরদেহ ছাদের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল, আবার অনেকের মরদেহ ছিটকে গিয়ে দূরে পড়ে থাকে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর পর একের পর এক মরদেহ উদ্ধার হয়।
দমকল বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রাথমিকভাবে ১২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হলেও পরে তা বাড়তে বাড়তে ৩৪ জনে পৌঁছেছে। মৃতদের মধ্যে চারজনকে শনাক্ত করা গেছে, বাকিদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটলে এলাকা কাঁপতে থাকে। ছুটে গিয়ে তারা দেখতে পান কারখানার ছাদ উড়ে গেছে এবং ভেতর থেকে বের হচ্ছে ঘন কালো ধোঁয়া। চারপাশ আতঙ্ক আর চিৎকারে মুখর হয়ে ওঠে।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণেই ওষুধ তৈরির এই কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। তবে সম্পূর্ণ তদন্তের আগে সুনিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক্স (সাবেক টুইটার)–এ তিনি লিখেছেন, সাঙ্গারেড্ডিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
তিনি নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ঘটনার পর তেলঙ্গানার বিরোধী দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সততা ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছে। তারা দাবি জানায়,
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সুষ্ঠু ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ঘটনায় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এবং রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মা পৃথকভাবে শোক প্রকাশ করেছেন।