চীন-রাশিয়াকে ঠেকাতে ‘গোল্ডেন ডোম’ তৈরি করছেন ট্রাম্প

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই দেশকে সুরক্ষা দিতে একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির কথা বলে আসছেন। অবশেষে 'গোল্ডেন ডোম' নামের ওই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নকশা চূড়ান্ত করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২১ মে) এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসি।
মূলত চীন-রাশিয়ার হুমকি প্রতিহতের লক্ষ্যে এই উচ্চাভিলাষী কর্মসূচির নেতৃত্ব দিতে একজন 'স্পেস ফোর্স' জেনারেলকেও নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। ইউএস স্পেস ফোর্সের জেনারেল মাইকেল গেটলাইন এই প্রকল্প দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গোল্ডেন ডোম প্রকল্প নিয়ে বক্তব্য দেন। জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণের নির্দেশ দেন তিনি। তার চলতি মেয়াদেই, অর্থাৎ ২০২৯ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের ইচ্ছের কথা জানান।
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ডেন ডোম অনন্য ও সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে আকাশেই প্রতিহত করতে পারবে এবং এর সাফল্যের হার শতভাগ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কানাডাও এই প্রকল্পে অংশ নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে জানান ট্রাম্প। গোল্ডেন ডোম মহাকাশ ভিত্তিক-ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ হামলা ঠেকাতে সক্ষম হবে। স্থল, সমুদ্র ও মহাকাশ থেকে আসা যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে এই 'ভবিষ্যত প্রজন্মের' প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
এ প্রকল্পের শুরুতে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। দীর্ঘ মেয়াদে এই খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 'গোল্ডেন ডোম' ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোমের'অনুপ্রেরণায় তৈরি করা হচ্ছে।
তবে এটি আরও বড় পরিসরে নির্মিত হবে এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্রও প্রতিহত করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন। এদিকে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানান, চীন-রাশিয়ার অপেক্ষাকৃত উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'চীন ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে, দেশটির জন্য বড় হুমকি।' বিশ্লেষকদের মত, মূলত এ কারণেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির সক্ষমতা বাড়াতে মরিয়া ট্রাম্প।