ট্রাম্প-পুতিনকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব জেলেনস্কির, নেপথ্য কারণ কি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মস্কোকে তিন বছরের আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করার লক্ষ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিয়েভ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
এ মাসের শুরুতে তুরস্কে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। ক্রেমলিন জানায়, কোনও ধরনের ‘চুক্তি’ হওয়ার পরই কেবল উভয় নেতার মধ্যে বৈঠক সম্ভব।
এদিকে, যুদ্ধ বন্ধে এখনও কোনো চুক্তি না হওয়ায় পুতিন ও জেলেনস্কি উভয়ের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৭ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিন যদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, অথবা সবাই যদি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পক্ষে থাকেন, তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি যেকোনো ফর্ম্যাটে প্রস্তুত।’
বুধবার (২৮ মে) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য প্রকাশ করা হয়। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি প্রস্তুত ‘ট্রাম্প-পুতিন-আমি’ বৈঠকের জন্য।’ একই সঙ্গে ওয়াশিংটনকে মস্কোর ওপর জ্বালানি ও ব্যাংক খাতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও আহ্বান জানান।
ইউক্রেনীয় নেতা বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের অপেক্ষায় আছি। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, যদি রাশিয়া না থামে, তাহলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আমিও চাই তাই হোক।’
এর আগে রাশিয়া, পশ্চিমা বিশ্বের একটি সমন্বিত যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার পর ওয়াশিংটন নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা না করায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছিলেন জেলেনস্কি।
মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেলেনস্কির এই বক্তব্যের ঘণ্টাখানেক পরই ইউক্রেন রাশিয়ায় ৩শটিরও বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তবে হামলায় ক্ষয়ক্ষতি সীমিত ছিল বলেও জানান রুশ কর্মকর্তারা।
যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি সীমান্ত এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলে মস্কো বাহিনী ইতোমধ্যে একাধিক গ্রাম দখল করেছে।
তার অভিযোগ, পুতিন ইউক্রেনের ভেতরে ওই এলাকায় একটি ‘নিরাপত্তা বাফার জোন’ গঠনের কথাও বলেছেন। জেলেনস্কি আরো বলেন, ‘ইউক্রেন এখনো রাশিয়ার কাছ থেকে শান্তিচুক্তির আনুষ্ঠানিক কোনো স্মারকলিপি পাননি, যেখানে যুদ্ধ বন্ধের জন্য মস্কোর শর্তাবলি উল্লেখ থাকবে।