রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ আজ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩২ এএম

ছবি : সংগৃহীত
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি বাস্তবায়নসহ কয়েক দফা দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি রাজনৈতিক দল। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেছে দলগুলো।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকা ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আলাদা আলাদা ব্যানারে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালন করবে তারা।
জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি অংশ নিচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
জামায়াতে ইসলামী
বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াত। সমাবেশে নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখবেন। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে পুরানা পল্টন, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
ইসলামী আন্দোলন
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করবে ইসলামী আন্দোলন। এতে নেতৃত্ব দেবেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
খেলাফত মজলিস
আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে খেলাফত মজলিস। এতে নেতৃত্ব দেবেন দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক।
খেলাফত মজলিস (ভিন্ন শাখা)
বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে খেলাফত মজলিসের আরেকটি অংশ। এতে দলের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
একই সময়ে একই স্থানে বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। বিকেল ৪টায় সেখানে সমাবেশ করবে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি। এছাড়া জাগপা বিকেল সাড়ে ৪টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।
দাবি
সাত দলের কেউ পাঁচ দফা, কেউ ছয় দফা, আবার কেউ সাত দফা দাবি তুললেও সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন।
এর মধ্যে রয়েছে—
- জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করে তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান,
- জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে (বা উচ্চকক্ষ) সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) চালু,
- অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি,
- বিগত সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার,
- জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।