সাগর-রুনি হত্যা : শেষবারের মতো ৬ মাসের সময় দিলেন হাইকোর্ট

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩২ পিএম

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। ছবি : সংগৃহীত
আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শেষবারের মতো ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এটাই শেষ সুযোগ, এই মেয়াদের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। সাগর–রুনি পরিবারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রিট আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে গত ২২ এপ্রিলও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছয় মাস সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আরো পড়ুন : শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ধার্য হবে যেদিন
গত বছরের ২৩ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়। এতে অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার নিচে নয়, এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তা, সিআইডির একজন প্রতিনিধি এবং র্যাবের একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই নির্দেশনার পর ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরও আগে ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল এবং ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলেছিল।
রাষ্ট্রের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চও এ সংক্রান্ত আদেশ দিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মামলার বাদীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রিটের পক্ষে মনজিল মোরসেদ।
এর আগে র্যাবকে মামলার তদন্ত থেকে সরাতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর মামলায় নতুন আইনজীবী হিসেবে ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এখন পর্যন্ত ১১৩ বার বাড়ানো হয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ ভাড়া বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন।