খালাস চেয়ে সাবেক আইজিপি মামুনের আপিল
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানায়, গত ১৭ ডিসেম্বর তিনি এই আপিল দায়ের করেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
গত ১৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি শহীদদের পরিবার ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন : এবার এনসিপি নেতাকে প্রকাশ্যে মাথায় গুলি
এছাড়া অপর একটি অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে গত ১৫ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) আপিল করে।
সেদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের জানান, গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে দুটি সাজা দেওয়া হয়েছে—একটি মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যটি আমৃত্যু কারাদণ্ড। রাষ্ট্রপক্ষ আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে উভয়ের জন্য মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছে। এ আপিলে মোট আটটি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
এর আগে গত ১০ জুলাই এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন মঞ্জুর করা হয়। মামলার বিচারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অধিকাংশ শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
