গণঅভ্যুত্থানের শক্তি হয়ে ক্ষমতায় যাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন উমামা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৯ পিএম

উমামা ফাতেমা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, যারা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছেছেন, তারাই এখন জনবিরোধী আচরণ করছেন। একটি অভ্যুত্থান এক শ্রেণির মানুষকে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে দেয়, অথচ অন্য শ্রেণির মানুষদের জন্য কোনো স্থান রাখে না। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পান্থকুঞ্জ পার্কে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উমামা বলেন, ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করার মতো বিষয়কে অন্তর্বর্তী সরকার প্রাধান্য দিচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিধ্বংসী উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কথা বললে তা শোনা হতো না। এটা খুবই দুঃখজনক যে একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হচ্ছে।
ঢাকা শহরে ন্যূনতম বাসযোগ্যতা নেই উল্লেখ করে উমামা ফাতেমা বলেন, গত ১৫ বছরে ঢাকাকে ডাস্টবিনে রূপান্তর করা হয়েছে। এখন শহরকে নিয়ে পরিকল্পনা করার সময় এসেছে। কিন্তু সরকার এ বিষয়গুলোকে আমলে নেয়নি। তারা শুধু গায়েবি কথাবার্তা, মুজিববাদিতা, মানে খুবই গায়েবি কথাবার্তা দিয়ে অভ্যুত্থানকে জাস্টিফাই করতে চায়।
তিনি আরো বলেন, বিগত সরকারের অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্পগুলো রিভিউ (পর্যালোচনা) করার দরকার ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়েও সেসব প্রকল্পের বেশির ভাগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। নানা ধরনের আপস হয়ে গেছে। তাহলে এটা গণ–অভ্যুত্থানের সরকার সেটা কীভাবে বুঝব?
সমাবেশে সরকার দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তারা পান্থকুঞ্জ থেকে সরবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব বলেন, বিগত সরকার জোর করে এই প্রকল্প শুরু করে। এলাকাবাসীর কোনো মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে ৪৫ প্রজাতির গাছ কেটেছে। আগের সরকার কোনো জলাশয়, মাঠ ও জনপরিসরের জায়গা ছেড়ে দেয়নি। যেখানেই খোলা জায়গা দেখেছে, নষ্ট করেছে।