ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দেশবাসীকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) পৃথক বাণীতে এ শুভেচ্ছা জানান তারা। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হবে ঈদে মিলাদুন্নবী। এদিন সরকারি ছুটি।
এ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। এদিন সেই মহিমান্বিত দিন, যেদিন আল্লাহর সর্বশেষ রসুল, হজরত মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়ায় আগমন করেন। তাঁর আগমন মানবজাতির জন্য বয়ে আনে রহমত, শান্তি ও মুক্তির বার্তা। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অসত্য ও অন্ধকার দূর করে মানুষকে তিনি আলোর পথ দেখান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআন নাজিল করে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে হজরত মুহাম্মদ (সা.) অসীম ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সমগ্র পৃথিবীতে পবিত্র কোরানের মর্মবাণী ছড়িয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, মহানবী (সা.) একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সবার ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে উম্মতদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ নিশ্চিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতিটি কথা, কর্ম ও জীবনাদর্শ সব মুসলমানের জন্য অবশ্য অনুসরণীয়।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’তথা সমগ্ৰ বিশ্বজগতের জন্য রহমত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে সমগ্র মানবজাতির হেদায়েত ও নাজাতের জন্য প্রেরণ করেছেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন ‘সিরাজাম মুনিরা’ অর্থাৎ আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচারের অন্ধকার থেকে মানুষকে মুক্তি ও আলোর পথ দেখাতে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আল্লাহর প্রতি অসীম আনুগত্য ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য পবিত্র কোরআনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য যে অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, তা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারী হিসেবে পথ দেখাবে।
ড, ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সবার জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনবে। দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে এবং জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ১২ রবিউল আউয়াল (হিজরি) তারিখে পবিত্র মক্কায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। এ দিনেই তিনি ইন্তেকাল করেন। তাই দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালনের উপলক্ষ।