ফেসবুকে শহিদুল আলম
ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম

গাজামুখী নৌযানে শহিদুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
গাজা অভিমুখী আন্তর্জাতিক নৌবহরে কনশানস নামের জাহাজটি দ্রুতগতির কারণে তার সামনে থাকা আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। পরে কনশানসের গতি কমানো হয়েছে এবং এখন সব নৌযান একযোগে এগোচ্ছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ফেসবুকে এই তথ্য জানান। তিনি কনশানস নৌযানটিতে অবস্থান করছেন।
কনশানস নৌযানটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের অংশ। এফএফসি ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে গাজার মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র অংশ। তবে বহরে কোনো খাদ্য সহায়তা নেই।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে শহিদুল আলম লিখেছেন, থাউজেন্ড ম্যাডলিনস একটি অবিস্মরণীয় ধারণা। জাতিগত নিধন ঠেকাতে বিশ্বনেতাদের পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়তা এবং কপট ভূমিকার কারণে বিশ্বের জনগণ নিজেরাই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাজারো জাহাজের ধারণাটি প্রতীকী। তবে নিঃসন্দেহে এভাবে একত্রিত হওয়া সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর এটি।
আরো পড়ুন : ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইরানে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
শহিদুল আলম কনশানস নামের যে নৌযানটিতে অবস্থান করছেন, সেটিকে তিনি ওই বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, এটি সবার শেষে (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালি থেকে রওনা করেছিল। আর কনশানসের আগে ওই আটটি নৌযান রওনা করেছিল। এ ছাড়া আরও দুটি নৌকাও আগে ছিল। তবে ওই দুটি নৌকার অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। কনশানস সবার শেষে রওনা করলেও এটির গতি বেশি হওয়ায় আগে রওনা করা আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন কনশানসের গতি কমানো হয়েছে এবং সব নৌযান একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে।
গাজার অবরোধ ভেঙে দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে শহিদুল আলম লিখেছেন, আমরা কনশানসের মানুষেরা অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে। দমন–পীড়নকারী কখনোই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে টিকতে পারেনি। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। মুক্ত হবে ফিলিস্তিন।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘কনশানস’ নামের জাহাজটিতে ২৫টি দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। এফএফসির সর্বশেষ এই মিশন গত বুধবার যাত্রা শুরু করে। ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও চিকিৎসকবাহী এই জাহাজ।
গত দুই বছর ধরে ইসরায়েল বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। এই সময়ে ২৭০ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এখনও অনেকে আটক বা কারাগারে বন্দী অবস্থায় রয়েছেন।