কার্গো ভিলেজে আগুন : এখনও ধ্বংসস্তূপ থেকে উড়ছে ধোঁয়া

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম

ধ্বংসস্তূপ থেকে উড়ছে ধোঁয়া। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ২১ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার পরও সেখানে পানি ছিটাতে দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, আগুন এখনও পুরোপুরি নিভে যায়নি। আমাদের ২২টি ইউনিট আগুনের স্থলে কাজ করছে। আগুন যেন পুনরায় না জ্বলে ওঠে, সেজন্য ক্রমাগত পানি ছিটানো হচ্ছে।
সকাল থেকে বহু ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরো পড়ুন : শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মী রেজাউল করিম রনি বলেন, শনিবার সকালে রপ্তানির জন্য মালামাল জমা দিয়েছিলাম। রোববার তা নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তৈরি পোশাক কারখানার জন্য এখানে থাকা বিপুল পণ্য ধ্বংস হয়েছে, এতে রপ্তানি খাতে বড় প্রভাব পড়বে।
শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পাশাপাশি নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরাও অংশ নেন।
আগুনের সময় বিমানবন্দরের সব উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। বিকল্প হিসেবে আটটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম, তিনটি সিলেট এবং দুটি কলকাতায় অবতরণ করে। রাত ৯টার পর উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছয় ঘণ্টায় অন্তত ২৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে অন্যত্র অবতরণ করতে হয়, ফলে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী।
আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস, সিভিল অ্যাভিয়েশন ও আনসারের মোট ৩৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৫ জন আনসার সদস্য। তাদের সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন লাগা ভবনে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য আমদানি করা বিপুল পরিমাণ কাপড়সহ দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল, যা আগুন নিয়ন্ত্রণে বিলম্ব ঘটায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তা হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে।