×

জাতীয়

ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্যসংকটে পড়বে দেড় কোটি মানুষ

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম

ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্যসংকটে পড়বে দেড় কোটি মানুষ

এই সময়ে চরম অপুষ্টির সম্মুখীন হতে পারে ১৬ লাখ শিশু। ছবি : সংগৃহীত

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বড় ধরনের খাদ্যসংকটে পড়তে পারেন। এই সময়ে চরম অপুষ্টির সম্মুখীন হতে পারে ১৬ লাখ শিশু। বিশেষ করে দুর্যোগপ্রবণ জেলাগুলোর মানুষ এই সংকটে পড়তে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা শিবিরসহ দেশের ৩৬ জেলার ৯ কোটি ৬৬ লাখের বেশি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টির অবস্থা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (এফপিএমইউ) এবং জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন–মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), ইউনিসেফ এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি যৌথভাবে ‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ (আইপিসি) প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের শেষ আট মাসে খাদ্যসংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সার্বিকভাবে গত বছরের তুলনায় এ বছর খাদ্যসংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা কমেছে।

আরো পড়ুন : নিত্যপণ্যের দামের চাপে জনজীবন চিড়েচ্যাপ্টা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, আইপিসির প্রতিবেদনের সঙ্গে আমরা দ্বিমত পোষণ করছি না। সমস্যা রয়েছে, তবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা কমানো হচ্ছে। মে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্লেষণ করা জেলার ১৭ শতাংশ মানুষ খাদ্যসংকটের ঝুঁকিতে থাকতে পারে। এর পেছনের কারণগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দা, জলবায়ু বিপর্যয়, তহবিলের অভাব, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং খাদ্য বৈচিত্র্যের অভাব রয়েছে।

প্রতিবেদনে দেশের ৩৬ জেলায় বসবাসরত ৯ কোটি ৬৬ লাখের বেশি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা পাঁচটি ধাপে বিশ্লেষণ করা হয়েছে—ধাপ ১: স্বাভাবিক, ধাপ ২: চাপে থাকা, ধাপ ৩: সংকটে থাকা, ধাপ ৪: জরুরি অবস্থা এবং ধাপ ৫: দুর্ভিক্ষ। এ বছর কোনো জেলায় ধাপ–৫ অর্থাৎ দুর্ভিক্ষ দেখা যায়নি। তবে কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধাপ–৪ বা জরুরি অবস্থার ঝুঁকি থাকতে পারে, যার সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ৩৬ জেলার ১৬টি জেলার ১ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটের সম্মুখীন ছিল। তবে মে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১৩টি জেলার ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ধাপ–৩ বা সংকটের মুখে পড়ছে। এই জেলাগুলো হলো: বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বান্দরবান, রাঙামাটি, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, সুনামগঞ্জ ও কক্সবাজার। বিশেষ করে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩০ শতাংশ মানুষ খাদ্যসংকটের সম্মুখীন। রোহিঙ্গা শিবিরসহ কক্সবাজার ও ভাসানচরের ৪০ শতাংশ মানুষও জরুরি অবস্থায় পড়তে পারে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটের খাদ্যসংকট কিছুটা কমেছে এবং ধাপ–২-এ উন্নীত হয়েছে। অপর দিকে বাগেরহাট ধাপ–২ থেকে ধাপ–৩-এ উন্নীত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও নদীভাঙনসহ দুর্যোগজনিত কারণে এসব এলাকায় খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

ব্র্যাক ড্রাইভিং স্কুলের সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক মানববন্ধন

ব্র্যাক ড্রাইভিং স্কুলের সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক মানববন্ধন

মেডিকেল ট্যুরিজমে চমক এনেছে সুহা ট্রাভেলস থাইল্যান্ড

মেডিকেল ট্যুরিজমে চমক এনেছে সুহা ট্রাভেলস থাইল্যান্ড

সিংগাইরে মাদ্রাসায় বসার বেঞ্চ-টুল উপহার দিলো জেসিআই মানিকগঞ্জ

সিংগাইরে মাদ্রাসায় বসার বেঞ্চ-টুল উপহার দিলো জেসিআই মানিকগঞ্জ

স্বাধীনতার এক নির্মম পরিহাস

স্বাধীনতার এক নির্মম পরিহাস

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App