জাতীয় নির্বাচন
বড় দল চায় সমঝোতা, ছোটদের আগ্রহ জোটে
হরলাল রায় সাগর
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াসহ কয়েকটি ইস্যুতে রাজনৈতিক সংকট চললেও জাতীয় নির্বাচনী ট্রেনে সামিল হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। ইতোমধ্যে প্রভাবশালী দল বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আরেক প্রভাবশালী দল জামায়াতে ইসলামী ঘোষণা না করলেও সব আসনেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন নেতারা। এছাড়া এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ছোট ছোট কয়েকটি দলও প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে সমমনা দল নিয়ে জোট গঠনের কথা বলে আসছিল রাজনৈতিক দলগুলো।
এখন অনেকের মুখেই সমঝোতার কথাও জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতা আলোচনায় এসেছে। তবে ভোটযুদ্ধে দলীয় জোট নাকি সমঝোতা হবে তার রহস্য খোলসা করেননি অধিকাংশ দলের নেতারা। একমাত্র জামায়াত বলেছে, তারা কোনো দলের সঙ্গে জোট নয়, সমঝোতা করবে। এক্ষেত্রে সমমনা ইসলামী দলগুলোকে কাছে টানছে জামায়াত।
অন্যদিকে বিএনপিও সমমনা ইসলামী দলগুলোর দিকে হাত বাড়িয়েছে। বিএনপিও এবার জোটের পরিবর্তে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করতে পারে। তবে কোন বৃহৎ শক্তির সঙ্গে কোন দল বা কোনো ছোট দলের সঙ্গে কোন বৃহৎ দল জোট বা সমঝোতা করবে তা নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন সংশ্লিষ্ট শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিকে প্রধান দুই দল- বিএনপি ও জামায়াত কৌশলগত কারণে আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতার প্রস্তাব দিলেও ছোট ছোট দলগুলোর বেশির ভাগই জোট গঠনে আগ্রহী। কারণ হিসেবে জানা গেছে, ছোট দলগুলোর সঙ্গে অনেকের সঙ্গে আদর্শগত অমিলের কারণে জোট গঠনে সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষের মধ্যেই অস্বস্তি কাজ করে। তাই বড় দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের লড়াইয়ে নামার তাগিদ অনুভব করলেও জোটের আহবানে সাড়া দিতে পারে না। তাছাড়া, এবার যেহেতু প্রধান জোট শরিকের প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ নেই; তাই জোট গঠনের প্রাসঙ্গিকতাও কমে গেছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিয়ে আসন সমঝোতার পথে হাঁটতে চায় প্রধান দুই দল।
অন্যদিকে ছোট দলগুলো মনে করে, জোট করে ভোটের লড়াইয়ে নামলে শুধু আসন ছাড়ই নয়; শরিক দলের প্রার্থীকে বৈতরণী পার করে দেয়ার একটা দায়ও থাকে জোটে নেতৃত্ব দেয়া দলের। তাছাড়া, ভোটে জিতে ক্ষমতায় গেলে সেই সরকারের অংশীদার হওয়ারও সুযোগ থাকে। কিন্তু শুধু আসন সমঝোতায় নির্বাচন করলে সেসব সুযোগ অনেকটাই কমে আসে। এই বিবেচনায় বিএনপির সমমনারা জোটের বিষয়ে বেশি আগ্রহী। সে তুলনায় জামায়াতের আসন সমঝোতায়ই সুবিধা বেশি। কারণ একাত্তরের কালিমালিপ্ত দলেটির সঙ্গে জোট করতে বেশির ভাগ দলেরই অস্বস্তি রয়েছে। তাছাড়া, ইসলামপন্থি দলের একটি বড় অংশ মওদুদীবাদ বাদ জামায়াতের ঘোর বিরোধী। এসব কারণে জোট নয়; আসন সমঝোতায়ই সুবিধা জামায়াতের। এরই মধ্যে এমন অবস্থান স্পষ্ট করেছে দলটি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনীতির মাঠে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ বিএনপি ও জামায়াত। ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট ভারী করতে দেখা গেছে দল দুটিকে। বিএনপি জোটে আছে যুগপৎ আন্দোলনের অধিকাংশ শরিক দল। অন্যদিকে, জামায়াত জোটে বেশ কয়েকটি ইসলামী দল।
আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যয়ে রয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রায় একমত। তবে রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, এর আইনগত বৈধতার জন্য গণভোট, এর জন্য আদেশ জারি, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ (আরপিও) বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধিতা রয়েছে। এই রাজনৈতিক সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে- অন্তর্বর্তী সরকার ৩ নভেম্বর বৈঠক করে দলগুলোকে সমঝোতার জন্য এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে। অন্যথায় সরকার সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে। এরকম রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক দল, দেশের মানুষ এমনিক সরকারের মাঝেও আশঙ্কা রয়েছে। অবশ্য দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষ দ্রুত নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে; তাদের প্রত্যাশা নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির নিরসন হবে।
নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মাঝে একটি আসনের প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ৬৩টি আসন নিজ দলের, জোট ও শরিকদের জন্য খালি রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, সবই জোটের জন্য খালি রাখা হয়নি। কিছু আসনে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি। শিগগির এসব আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। তবে যারা যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে।
দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের (বিএনপির) সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, যেসব আসনে তারা আগ্রহী, সেগুলোতে আমরা কোনো প্রার্থী দিইনি। আমরা আশা করছি তারা তাদের নাম ঘোষণা করবেন, তখন আমরা চূড়ান্ত করব।
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি চার দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর জন্য ৩৯টি আসন ছেড়েছিল। ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ১৯টি ও ২০-দলীয় জোটকে ৩৯টি আসন ছাড়া হয়েছিল, যার মধ্যে ২২টি ছিল জামায়াতের জন্য। এবার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত থাকায় বিএনপির প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে মাঠে থাকতে পারে জামায়াত ও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দল। ১২-দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল। ১২ দলীয় জোটে আছে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বাংলাদেশ জাতীয় দল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোটসহ ১২টি রাজনৈতিক দল। আর জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটে রয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), জাগপা (খন্দকার লুৎফুর), ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ-ভাসানী ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টিসহ ৯টি দল। তবে বিএনপি এখনো জোটের জন্য কত আসন ছাড়বে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
জানা গেছে, বিএনপি শরিকদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিল, কে কোন আসনে নির্বাচন করতে চান। এর জবাবে শরিকরা ২২২টি আসনে প্রার্থী দাবি করে তালিকা জমা দিয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ আরো ২০টি আসন দাবি করেছিল, যদিও তারা আনুষ্ঠানিক তালিকা দেয়নি। এছাড়া বিএনপির সঙ্গে অন্তত ২০ আসনে সমঝোতা করতে চায় এনসিপি। পাশাপাশি বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা চায় এই নতুন রাজনৈতিক দলটি। এসব প্রস্তাব, দাবি বা আলোচনা- সবই অনানুষ্ঠানিকভাবে চলছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। সম্ভাব্য আসন সমঝোতা প্রশ্নে আপাতত বিএনপির দিকেই বেশি ঝুঁকছে এনসিপি। দলটি বিএনপির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা বা যোগাযোগের মধ্যে রয়েছে। তবে জোট বা সমঝোতার বিষয়টি স্পষ্ট করেনি এনসিপি।
এনসিপির সঙ্গে যদি জোট বা সমঝোতা চূড়ান্ত হয়, তাহলে অন্তত ৮-১০টি আসন তাদের জন্য বরাদ্দ হতে পারে বলে বিএনপির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আবার ভিন্ন কথাও আলোচানায় রয়েছে। তাহলো বিএনপি-জামায়াতের বাইরে আলাদা জোট গড়তে চায় এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টিসহ ৯টি দল; যা চূড়ান্ত করতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দলগুলো। জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রাখা দলগুলোর সঙ্গে থেকে আন্দোলনের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করতে চায় এনসিপি ও এবি পার্টি। তবে, নতুন জোট গঠনে এনসিপিকে অপরিপক্ক ও বড় বাধা হিসেবে দেখছে কোনো কোনো দল। এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নিতে প্রস্তুত এনসিপি। সারাদেশের ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আগানো হচ্ছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই আসনগুলোতে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে সমঝোতা বা জোট রাজনৈতিক বা আদর্শিক জায়গা থেকে হতে পারে। জুলাই সনদে সংস্কার দাবিগুলোর সঙ্গে সংহতির বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনী কাঠামো, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে একটি ‘সমঝোতামূলক রূপরেখা’ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। দলটি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে। তাদের সঙ্গে কোনো জোট হয়নি। এর বাইরে এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে সমোঝাতার আলোচনা চলছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান গতকাল বলেন, আমরা কোনো জোট করার সিদ্ধান্ত নিইনি, জোট করবও না। আমরা নির্বাচনী সমঝোতা করব। শুধু ইসলামী দল নয়, দেশপ্রেমিক প্রতিশ্রুতিশীল যারা আছেন তারা সংযুক্ত হচ্ছেন। আগামীতে আরো অনেক দল এই নির্বাচনী সমঝোতায় যুক্ত হবেন। আমরা সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে চাই।
বাম ও প্রগতিশীল ঘরানার ছয়টি রাজনৈতিক দলের মোর্চা (নাগরিক ঐক্য, জেএসডি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন) গণতন্ত্র মঞ্চ গত ৯ অক্টোবর ১২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। সেসময় মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, পর্যায়ক্রমে ৩০০ আসনের বাকি আসনগুলোতেও প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ এর আগে এককভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল। এর পাশাপাশি মঞ্চ সম্প্রসারণের আলাপ চলমান রয়েছে। এমনকি অন্য কোনো জোটের সঙ্গে ঐক্য বা নির্বাচনী সমঝোতার সম্ভাবনাও রয়েছে। দেশকে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করে জনগণের মালিকানা ও জনগণের কাছে জবাবদিহির রাষ্ট্রকাঠামো গড়তে যারা সর্বোচ্চ সচেতন হবেন, তাদের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের ঐক্য হবে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপি বা এনসিপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতা হতে পারে। জামায়াতের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।
তবে গণসংহতি আন্দোলন গতকাল বুধবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তারা জোটে না সমঝোতায় যাবে তা নিশ্চিত নয়। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দলের প্রার্থীরা দলের প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। কিন্তু কোনো দল যদি কোনো জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়, সেই সুযোগটা রাখাও আমরা সমীচীন মনে করি। নির্বাচন দেশের জন্য অপরিহার্য। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে আবশ্যিকভাবে নির্বাচন লাগবে।
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ১০০ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। বিএনপির সঙ্গে জোট বা সমঝোতায় যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দলটি। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের জোটের বাইরে নতুন বন্দোবস্ত রাজনীতি নিয়ে যারা কাজ করছে; তাদের নিয়ে একটি জোট করা যায় কিনা- এমন চিন্তা থেকে আামাদের আলোচনা চলছে। প্রথমত এনসিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে কিছু আলোচনা করেছি। গণতন্ত্র মঞ্চের যে ছয়টি দল আছে সেগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করেছি।
গণঅধিকার পরিষদ গত ২৪ জুলাই প্রথম ধাপে ৩৬টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। এ তালিকায় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের নেতাও আছেন। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি প্রাথমিক তালিকা, পর্যায়ক্রমে বাকি আসনগুলোতেও প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচনী জোটের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে, স্থিতিশীল রাজনীতি ও বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে আগামীতে নির্বাচনী জোট করলেও দলটির প্রার্থীরা নিজ দলের মার্কা ‘ট্রাক’ নিয়ে নির্বাচন করবেন।
