তাসকিন-মস্তাফিজ-রিশাদদের প্রশংসায় দুই ভারতীয়

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
এশিয়া কাপ শুরুর আগে বাংলাদেশকে সুপার ফোরে দেখেননি অনেক ক্রিকেটবোদ্ধাই। তবে এবার টাইগার পেস ইউনিটের প্রশংসায় মেতেছেন ভারতীয় দুই ক্রিকেটবোদ্ধা সঞ্জয় ব্যাঙ্গার ও আকাশ চোপড়া। দুজনই বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট, বিশেষ করে পেস বোলিং ইউনিটের প্রশংসা করেছেন। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিবদের সঙ্গে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে নিয়েও প্রশংসা ঝরেছে তাদের কণ্ঠে।
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে টাইগার পেস ইউনিটকে প্রশংসার সাগরে ভাসিয়েছেন সঞ্জয় ও আকাশ। পেস ইউনিটটা বেশ কিছুদিন ধরেই দারুণ শক্তিশালী বাংলাদেশের। দেশে, দেশের বাইরে নিজেদের বারবার প্রমাণ করেছেন টাইগার পেসাররা। এবার এশিয়া কাপে নিজেদের মেলে ধরার পালা।
বাংলাদেশ ম্যাচের আগে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর টাইমআউট অনুষ্ঠানে ভারতীয় ক্রিকেট কোচ এবং বিশ্লেষক সঞ্জয় ব্যাঙ্গার টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে বলেছেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যাদের বোলিং আক্রমণ বেশি ভালো থাকে তারাই টুর্নামেন্টে বেশি দূরে যেতে পারে। এ কারণেই আমি বিশ্বাস করি, যে স্কোয়াড তারা নিয়ে এসেছে এখানে তাদের সেরা সুযোগ থাকবে। কেবল ব্যাটিংটা যুতসই হতে হবে। আগে সবাই বলেছে, লেগ স্পিনার কোথায়? বাংলাদেশের লেগ স্পিনার কোথায়? এখন তাদের লেগ স্পিনার আছে। এর সঙ্গে পেস বোলিংয়ে দারুণ বৈচিত্র্য আছে। ফলে তাদের বেশ ভালো বোলিং লাইনআপও রয়েছে।
এছাড়া চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছক্কা হাঁকানোতে সেঞ্চুরি করেছে বাংলাদেশ দল। এমন ছক্কাবিপ্লবের বাংলাদেশের দেখা আগে সেভাবে মেলেনি। এশিয়া কাপেও কি নিজেদের ছক্কা হাঁকানোর সামর্থ্য দেখাতে পারবেন টাইগার ব্যাটাররা? জবাবে সঞ্জয় বলেছেন, আমি আশা করছি। এ কারণেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই তরুণরা ছক্কা হাঁকাতে পারদর্শী। অনেক অনুশীলন করে তারা ছক্কা হাঁকানো নিয়ে। যে কারণে ম্যাচেও সেই স্কিলটা কাজে লাগাতে পারে। তবুও আমি বিশ্বাস করছি কিছু প্লেয়ার থাকবে যারা ইনিংস অ্যাংকর করতে পারবে। লিটন দাস আছে, তারা হয়ত চাইবে (যে লিটন অ্যাংকর করুক)। আমি তাওহিদ হৃদয়ের অগ্রগতি অনেক ফলো করছি। দারুণ ইম্প্রেসিভ ক্রিকেটার। এই দুজন ভালো টুর্নামেন্ট কাটাতে পারলে বাংলাদেশ অতীতের স্বর্ণালি দিনগুলো ফিরে পেতে পারে।
এছাড়া একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আকাশ চোপড়া বাংলাদেশ দলের বোলিং নিয়ে বলেছেন, এটাই তাদের শক্তি। ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টিতে তারা আরও আপগ্রেড হয়েছে। তবে বোলিং দিয়েই তারা খেলা নিয়ন্ত্রণ করে। তারা ১৫০-১৬০-১৭০ এমন রানের ম্যাচেই বেশি স্বাছন্দ্যবোধ করে থাকে। তাদের ৩ পেসারই ভালো। ফিজ শুরুতে এবং ডেথে ভালো বোলিং করে। তাসকিনের দারুণ পেস আছে, তানজিমও ভালো। গত ১২ মাসে দলের প্রধান উইকেটশিকারী বোলার ছিল তারা।
আকাশ আরও বলেন, আগে তারা ইউএই এর কাছে হেরেছে। তবে এরপর কিন্তু তারা ভালোই খেলেছে। এখানে ভালো ফর্ম নিয়ে এসেছে। পেস ইউনিট এখানে বড় কারণ, স্পিন নয়। কারণ সাকিব আল হাসান নেই, মেহেদী হাসান মিরাজও দলে নেই। স্পিনে বৈচিত্র্য আছে তবে অভিজ্ঞতা কম। পেস বোলিংয়েই তাদের বড় নিয়ন্ত্রণ।
মুস্তাফিজ, তাসকিন, তানজিমদের পাশাপাশি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং শরিফুল ইসলামও রয়েছেন টাইগার পেস ইউনিটে। এছাড়া স্পিনারদের মধ্যে রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসানের সঙ্গে দলে আছেন নাসুম আহমেদ। শামীম হোসেন পাটোয়ারী, সাইফ হাসানরাও কাজ চালানোর অফ স্পিন করতে পারেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট বেশ শক্তপোক্তই। এবার মাঠে ক্রিকেটে নিজেদের মেলে ধরার পালা।