কলেজবেলার প্রেম থেকে শুরু, তারপর বিয়ে—আজ এক সন্তান নিয়ে সুখী পরিবারে আবির চট্টোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এই 'চাইল্ডহুড সুইটহার্ট' দম্পতির সম্পর্ক যতই মজবুত হোক না কেন, নন্দিনীকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষ থামছে না।

প্রায়ই নন্দিনীর রূপ-লাবণ্য বা ‘লুক’ ঘিরে শুরু হয় আলোচনা। আবিরকে প্রশংসায় ভাসিয়ে অনেকেই লেখেন, “ভালোবাসা রূপ দেখে হয় না”—যা সরাসরি নন্দিনীর প্রতি অবজ্ঞার সামিল। তার ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা, বা ভালোবাসার জায়গাটা হয়ে পড়ে গৌণ।

আরো পড়ুন : ২৪ সেকেন্ডের রিলসে ঝড় তুললেন ফারিয়া

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আবির ও নন্দিনী একসঙ্গে হাজির ছিলেন। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ফের শুরু হয় কুরুচিকর মন্তব্য। একের পর এক মন্তব্যে নন্দিনীর শরীর ও রূপ নিয়ে বিদ্রুপ করা হয়।

তবে এবার প্রতিবাদ শুধু আবিরের অনুরাগীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। যিনি নিজেও ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে অতীতে বারবার ‘বডি শেমিং’-এর শিকার হয়েছেন।

ভিডিওটির কমেন্ট সেকশনে সরাসরি মন্তব্য করে ঋতাভরী লেখেন, "আমরা কেন যে 'ফাটাফাটি' ছবিটা বানিয়েছিলাম, এই কমেন্ট সেকশনই তা বলে দিচ্ছে।"

‘ফাটাফাটি’ ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন অরিত্র মুখোপাধ্যায়। সেখানে ঋতাভরীর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আবির। ছবিটি মূলত সমাজের শরীর নিয়ে কটাক্ষ ও অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ‘বডি পজিটিভিটি’-র বার্তা দিয়েছিল।

একজন দর্শক কমেন্ট সেকশনে লিখেছিলেন, কটাক্ষকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী। তার জবাবে ঋতাভরী বলেন, "মেয়েরাও লিখলে সেটা ভুল। যার শরীর নিয়ে তাকে বাঁচতে হয় না, সেই শরীর নিয়ে মতামত কেন? কারও চেহারা দেখে বিচার করা উচিত নয়।"

তিনি আরো লেখেন, "এই সমাজ একসময় সতীত্বের নামে মেয়েদের পুড়িয়েছে, পড়াশোনা করতে দেয়নি। সময় লেগেছে, কিন্তু মানুষ ধীরে ধীরে সচেতন হয়েছে। এখানেও তেমনটাই আশা করি।"

উল্লেখ্য, নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় একজন উচ্চশিক্ষিত ও উচ্চপদস্থ নারী। তা সত্ত্বেও তার বাহ্যিক রূপ ঘিরে বারবার কুরুচিকর মন্তব্য থামছে না।