সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার নিষিদ্ধ হচ্ছে কেন?
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে দেশে আর আমদানি, উৎপাদন কিংবা বিক্রি করা যাবে না সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার। মূলত গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রযুক্তিপণ্য রাউটার। গৃহকোণ থেকে শুরু করে অফিস কিংবা কারখানা সবখানেই অবাধে ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করছে এসব রাউটার। দেশে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি বিভিন্ন মানের রাউটার পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে সিঙ্গেল ব্যান্ড, ডুয়াল ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার।
দেশে ব্যবহৃত সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটারগুলোর ফ্রিকোয়েন্সির সক্ষমতা থাকে সাধারণ ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজ। এই রাউটারে ইন্টারনেটের গতি পাওয়া যায় অনেকটাই কম। তবে ডুয়াল-ব্যান্ড কিংবা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটারে সিঙ্গেল ব্যান্ডের থেকে বেশি ফ্রিকোয়েন্সি পাওয়া যায়। এতে ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি আরও মসৃণ হয়, যা ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক। দেশে সিঙ্গেল ব্যান্ডের রাউটারের আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ হওয়ার এটাই কারণ বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে দেশের বাজারে যেসব ওয়াই-ফাই রাউটার বাজারজাত হবে, সেগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে ২ দশমিক ৪ থেকে ২ দশমিক ৪৮৩ গিগাহার্জ এবং ৫ দশমিক ৭২৫ থেকে ৫ দশমিক ৮৭৫ গিগাহার্জ, উভয় ব্যান্ড সাপোর্ট করতে হবে। এই দুটির মধ্যে একটিকে সাপোর্ট করে এমন ওয়াই-ফাই রাউটার বাজারজাত করা যাবে না। ফলে নিম্নমানের এবং কম ব্যান্ডের রাউটার বিদেশ থেকে আমদানি ও দেশে উৎপাদনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা বলেন, সিঙ্গেল ব্যান্ডের রাউটারে স্পিড ভালো পাওয়া যায় না। তাই গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই এই রাউটারকে তুলে নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ডুয়েল ব্যান্ড রাউটার কিনতেও খুব বেশি খরচ বাড়বে না গ্রাহকদের। হয়তো এক দুইশ টাকার পার্থক্য হবে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পাবেন না এক ব্যান্ডের রাউটার আমদানিকারকরা।
