×

আবহাওয়া

বন্যা পরিস্থিতি: পানি কমলেও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ যাবে কোথায়?

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩২ এএম

বন্যা পরিস্থিতি: পানি কমলেও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ যাবে কোথায়?

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ।

ফেনীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে কেউ কেউ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বেশিরভাগেরেই বাড়ির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে বেশিরভাগ জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের বাসা-বাড়িতে এখনো পানি। যেসব ঘর থেকে পানি সরে গেছে, সেসব ঘর পুরোটাই পরিণত হয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তূপে। এখন ঘরের বাসিন্দারা এসব আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।

ঘরে ফেরা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এতদিন আশ্রয়কেন্দ্রে মহাদুর্ভোগে দিন পার করলেও ঘর বসবাসযোগ্য করে তুলতে আরো অন্তত দুই একদিন সময় লাগবে। ঘরে খাদ্য সামগ্রী না থাকার পাশাপাশি বাজারেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাব রয়েছে। এই অবস্থায় কীভাবে দিন পার করবেন– এই নিয়েই অনেকে চিন্তিত আছেন।

পাঁচদিন পর বন্যার পানি নামতে শুরু করায় ভেসে উঠতে শুরু করেছে ডুবে থাকা বাড়িঘর। কিন্তু সেগুলোতে মানুষ গিয়ে উঠবে, সেই সুযোগ নেই। পানির স্রোতে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় সবকিছু। তাই আশ্রয়কেন্দ্রেই কাটছে দিন, যারা ছাড়ছেন তারা কাছে বা দূরে স্বজনদের বাড়িতে ছুটছেন। এ যেন এক অনিশ্চয়তাকে পেছনে ফেলে আরেক অনিশ্চয়তার পথে পা বাড়ানো।

ফুলগাজীর বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা নূর ইসলাম বলেন, ‘কোনোমতে বাঁচি আছিলাম, বাড়ি-ঘরে থাকার মত অবস্থা নাই। এখন চিটাগংয়ে ছেলের বাসায় যাইতেছি। এমনে আশ্রয়কেন্দ্রে আর কয়দিন?’

ফেনী শহর থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো পানি আটকে আছে বিভিন্ন সড়কে। শহর থেকে বের হয়ে অন্য উপজেলার দিকে যেতে চাইলেই এখনো ভাঙতে হচ্ছে হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত। এ অবস্থায় ত্রাণবাহী ট্রাক ছাড়া সেসব উপজেলার সঙ্গে চলাচলের নেই কিছু। কোথাও কোথাও পানি নেমে যাওয়ায় নৌকাতেও পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হেঁটেই চলতে হচ্ছে মানুষকে।

আরো পড়ুন : বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে গিয়ে ৩ জনের মৃত্যু

ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এখনো গ্রামীণ সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কিছু কিছু বাড়িতে এখনো হাঁটু সমান পানি। এসব এলাকায় এখন তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েল গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সংকট আরো তীব্র হয়েছে। অনেকেরই নষ্ট ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পোল্ট্রি এবং গবাদি পশুর খামার– অবশিষ্ট নেই কিছুই। 

শহরের ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মোড়ে ত্রাণবাহী ট্রাকের ভিড়, এখান থেকে ফেনীর বিভিন্ন উপজেলায় ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। এসব ট্রাকে অনুরোধ করে উঠে যাচ্ছেন স্বজনদের খোঁজ করতে যাওয়া অনেকেই। আবার কেউ আশে-পাশের এলাকা থেকে এসে ভিড় করেছেন ত্রাণের আশায়।

জামাল উদ্দিন নামে একজন জানান, তার বোনের বাড়ি পরশুরাম এলাকায়। বন্যার শুরু থেকেই তাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এতদিন খোঁজ নিতে যাওয়ার উপায় ছিল না, তাই পানি কমায় রওনা দেন বোনের বাড়ির পথে।

ত্রাণের সন্ধানে আসা শহরের পাঠাননগর এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল বলেন, সবাই ত্রাণ নিয়ে দূরে চলে যায়। আমরা শহরের কাছে কিন্তু আমার ঘরে বুক সমান পানি। রান্না-বান্নার কোনো অবস্থা নাই, বাইরেও কিনে খাওয়ার মতও খাবার নাই। কিন্তু আমাদের কেউ দেখে না।

ফেনী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুলতানা নাসরিন কান্তা জানান, ফেনীর ছয়টি উপজেলাই বন্যা কবলিত। বন্যা কবলিত এলাকার প্রায় ২ লাখ লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। রবিবার পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিল। সোমবার আশ্রয় কেন্দ্র থেকে আরো কিছু লোক ঘরে ফিরে যাচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো দুই এক দিন সময় লাগবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

টাইমলাইন: ভারতের ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আইডিইবিতে ইউনেট বাংলাদেশ গেমিং ও ইস্পোর্টস সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আইডিইবিতে ইউনেট বাংলাদেশ গেমিং ও ইস্পোর্টস সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

জেসিআই বাংলাদেশের নতুন প্রেসিডেন্ট আরেফিন রাফি

জেসিআই বাংলাদেশের নতুন প্রেসিডেন্ট আরেফিন রাফি

যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের হৃদয় থেকে দুর্নীতির ধারণা মুছে যাক: এসিএম সভাপতি

যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের হৃদয় থেকে দুর্নীতির ধারণা মুছে যাক: এসিএম সভাপতি

সিলেটের গোলাপগঞ্জের নতুন ইউএনওকে হত্যার হুমকি

সিলেটের গোলাপগঞ্জের নতুন ইউএনওকে হত্যার হুমকি

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App