ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠকের সম্ভাবনা, হোয়াইট হাউসে গোপন প্রস্তুতি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৪ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে শিগগিরই বৈঠক হতে পারে। তবে সেটি বেইজিং বা ওয়াশিংটনে নয়, পূর্ব এশিয়ার অন্য একটি দেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, পুরো পরিকল্পনাটি চলছে গোপনে, আর হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে সতর্কভাবে ভাবছে।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার গেয়োংজু শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপিইসি) সম্মেলন। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা অংশ নেবেন। ট্রাম্প চাইলে তাঁর শীর্ষ উপদেষ্টাদের সঙ্গে এ সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন। সেখানে একদিকে যেমন মার্কিন বিনিয়োগ আহ্বান ও অর্থনীতি শক্তিশালী করার সুযোগ তৈরি হবে, অন্যদিকে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, কারণ চীনা প্রেসিডেন্টও ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন।
তবে ট্রাম্পের এপিইসি সফর এখনো চূড়ান্ত হয়নি। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় সফর নিয়ে আলোচনা চলছে। সফরের মূল লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা। তবে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হতে পারে। যদিও এপিইসি সম্মেলনে কিম যোগ দেবেন কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আপাতত মার্কিন কর্মকর্তাদের নজর শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের দিকেই। গত মাসে ফোনালাপে শি জিনপিং ট্রাম্পকে সস্ত্রীক চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তবে কোনো তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
আরো পড়ুন : পুতিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, কিয়েভে বৈঠকের আমন্ত্রণ জেলেনস্কির
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং ইতোমধ্যে ট্রাম্পকে এপিইসি-তে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কিম জং উনের সঙ্গেও তাঁর দেখা হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা কথা বলব। উনিও দেখা করতে চান। আমাদের সম্পর্ক আরো ভালো হবে।
সম্প্রতি সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং শি জিনপিংয়ের বৈঠক ট্রাম্পকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। তিনি এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষ করলেও পরে মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলে আশ্বস্ত করেন। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।