ডাকসুতে দুটি হল সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন দুই ছাত্রী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৪ এএম

ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় দুটি হল সংসদের বহিরঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন দুই ছাত্রী।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের রেহেনা আক্তার এবং শামসুন নাহার হলের লামিয়া আক্তার (লিমা) এই পদগুলোতে নির্বাচিত হচ্ছেন।
রেহেনা আক্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী এবং বর্তমানে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ নারী ফুটবল দলের সদস্য।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে রেহেনা বলেন, খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি থাকায় বহিরঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
আরো পড়ুন : ডাকসু নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা
লামিয়া আক্তার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী। তিনি বাংলা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া বিষয়ে লামিয়া আপাতত কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, একটি নির্দিষ্ট পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকা কাকতালীয়। আমরা কারও সঙ্গে কোনো সমঝোতা করিনি। সব পদে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে ভালো হতো।
ডাকসু নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ২১ আগস্ট প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, দুটি হলের বহিরঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে একাধিক মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি।
এবার নির্বাচনে স্বতন্ত্রসহ প্রায় ১০টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তবে কোনো ছাত্রসংগঠনই সব হল সংসদে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পারেনি। ১৮টি হলের মধ্যে ছাত্রদল সর্বোচ্চ ১৪টিতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে। অন্যান্য প্যানেল স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে মোট ২৩৪টি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা। প্রাথমিক যাচাই–বাছাই শেষে ১,১০৮ জন শিক্ষার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ডাকসুর কেন্দ্রীয় ২৮টি পদে কয়েকশ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ২৬ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হবে।
নতুন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সানজিদা আহমেদ (তন্বি)। তিনি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন। বিভিন্ন প্যানেল তাকে সমর্থন দিয়েছে। প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী এই পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।
সানজিদা বলেন, আমি লড়াই করে জিততে চাই। নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের ভোটের মর্যাদা রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।