সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত
প্রস্তাবিত ও বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’–র স্কুলিং মডেল বাতিলের দাবিতে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল নিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন। এতে নিউমার্কেট এলাকার মিরপুর সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ ইতিহাস, স্বকীয়তা ও পরিচিতি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্য ও নিজস্ব শিক্ষা–পরিবেশে গড়ে ওঠা পরিচিতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে তারা মনে করেন। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়া এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ফরহাদ রানা সজিব বলেন, নতুন কাঠামো চাপিয়ে দিলে প্রশাসনিক জটিলতা, শিক্ষক সংকট ও অবকাঠামোগত ঘাটতি আরও বাড়বে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হলেও কলেজগুলোর ঐতিহ্য ও ব্র্যান্ড হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
আরেক শিক্ষার্থী নাসিম হায়দার বলেন, কোনো আলোচনা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই—সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিকে স্কুলিং পদ্ধতিতে নয়, বরং অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কাঠামোয় করা হোক।
এর আগে, রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে স্বতন্ত্র একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তিও বাতিল করা হয়। গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্ধান্তটি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রশাসনিক জটিলতা কমানো এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত চাপ হ্রাসের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হবে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ।
ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি অংশীজনদের মতামত নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রস্তাব করেছে। বর্তমান সংসদ না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ আকারে আইন জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি ২৪ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাঠামোর ওপর মতামত নিতে অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে। খসড়ায় সাত কলেজকে চার স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোয় এইচএসসি , স্নাতক ও স্নাতকোত্তর—তিন স্তরের পাঠদান বজায় রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
