রাজধানীর মগবাজারে টিএন্ডটি কলোনীতে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সরকারি জায়গা দখল করে আবাসন গড়ে তুলেছেন এবং তা ভাড়া দিয়ে বিপুল অর্থ আয় করছেন বিটিসিএল-এর এক কর্মচারী। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এ অনিয়ম করে চলেছেন আবদুল্লাহ (ওরফে লিটন), যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দপ্তরে অর্থ শাখায় কর্মরত।

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বাসিন্দা আবদুল্লাহ নব্বই দশকে অফিস পিয়ন পদে বিটিসিএলে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে পদোন্নতি পেয়ে ‘উচ্চমান সহকারী (বড় বাবু)’ পদে উন্নীত হন। চাকরিজীবনের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনি ঢাকাতেই কর্মরত রয়েছেন, যা প্রশাসনিক নীতিমালার পরিপন্থী।

টিএন্ডটি কলোনীতে বরাদ্দপ্রাপ্ত বাসার পাশাপাশি খালি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে অতিরিক্ত কক্ষ নির্মাণ করেছেন তিনি। এসব কক্ষ ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আদায় করছেন বলে জানা গেছে। কলোনীর একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, ঢাকায় অন্য অফিসে বদলি হওয়া সত্ত্বেও তিনি একই বাসায় থেকে দখল বাড়িয়েছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ ভাড়া বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে মগবাজার কলোনীতে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে ভূমিকা রাখার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে বিটিসিএল-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, একজন কর্মকর্তা জানান—তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে অভিযুক্ত কর্মচারীকে ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।

সরকারি জায়গা দীর্ঘমেয়াদে দখলে রেখে ব্যবহারের এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ না করা হলে তা ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।