সমন্বয়করা বাসায় বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজি করছেন: যুবদল নেতা নয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর গুলশান এলাকায় আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আটক হয়েছেন পাঁচজন। শনিবার (২৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে তাদের গুলশান এলাকা থেকে আটক করা হয়। এই পাঁচজন হলেন- মো. রিয়াদ, মো. সিয়াম, মো. সাদাফ, মো. ইব্রাহীম ও মো. আমিনুল। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা। এদিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। তিনি জানান, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা চাঁদাবাজি করে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে দিতে চায়। রোববার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে এ দাবি করেন এ যুব নেতা।
রবিউল ইসলাম নয়ন বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বাসায় বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। এটা নতুন কিছু নেই। একটু গ্রুপ যারা সারা বাংলাদেশে চাঁদাবাজি, দখলদারি করে এবং সেটাকে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দিতে চায় বিভিন্ন সময়।
চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতায় অন্তর্বর্তী সরকার নীরব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা পুরান ঢাকার একটি ঘটনা দেখেছেন। যেটি ব্যবসায়িক দ্বন্দের মধ্য দিয়ে ঘটেছে।
সেটাকে বিএনপির নাম দিয়ে বাংলাদেশে একটা মব সৃষ্টি করে ইমেজ ক্ষুণ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র ও চেষ্টা করা হয়েছে। আপনারা জানেন, একটি মিথ্যা ঘটনাকে সামনে এনে বিএনপিকে দায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গুলশানের মতো একটা সোসাইটিতে বাসার ভেতরে গিয়ে চাঁদাবাজি করছেন, সেটা নিয়ে অন্য কোনো দল কথা বলছে না। এর মানে এই চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার নীরব রয়েছে বলে আমরা মনে করছি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটির দুই নেতা রিয়াদ, অপুসহ কয়েকজন। সেদিন বাসায় ছিলেন শাম্মী আহমেদের স্বামী। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রিয়াদ, অপুসহ অন্যরা। পরে শাম্মী আহমেদের স্বামী ১০ লাখ টাকা চাঁদাও দেন। ২৬ জুলাই রাত ৮টার দিকে চাঁদার বাকি টাকা আনতে যান তারা। পুলিশ আগে থেকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।