×

অপরাধ

অর্থ আত্মসাত মামলায় হাজিরা দিলেন কলিমউল্লাহ, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারণ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম

অর্থ আত্মসাত মামলায় হাজিরা দিলেন কলিমউল্লাহ, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারণ

অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। ফাইল ছবি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক উপাচার্য (ভিসি) নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ হাজিরা দিয়েছেন। কলিমউল্লাহসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও মামলার তদন্ত সংস্থা (দুদক) প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। এদিন কাস্টডি ওয়ারেন্ট মূলে কারাগার থেকে কলিমউল্লাহকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। হাজিরা দেয়া শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ৭ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত ২৭ আগস্ট এ মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। গত ১৮ জুলাই নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। তারা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের বেশি চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া করেন। ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে নেওয়া নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেই এফডিআর ঠিকাদারকে ঋণ দেওয়ার জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ অনুমোদন তথা গ্যারান্টার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার কোনো আইন না থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম বিল দেওয়া হয় এবং অগ্রিম দেওয়া বিল সমন্বয়ের আগেই বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো অবমুক্ত করা হয়। প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ড্রইং বা ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধি বহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন না করার অভিযোগ রয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম. এম. হাবিবুর রহমান।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সরকারি খরচে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন নুর

সরকারি খরচে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন নুর

ঢাকাই জামদানি যখন দিল্লি মাতিয়ে তুলেছে

ঢাকাই জামদানি যখন দিল্লি মাতিয়ে তুলেছে

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

'ব্রেইন ফগ' থেকে মুক্তি পাওয়ার ৪ উপায়

'ব্রেইন ফগ' থেকে মুক্তি পাওয়ার ৪ উপায়

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App