আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েই গুলিতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন (৫৬)।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন তিনি, এই সময়ই এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মামুন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মোবারক কলোনির এস এম ইকবাল হোসেনের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী রিপা আক্তার জানান, তার স্বামী বিএনপি সমর্থিত একজন কর্মী এবং পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বলেন, আজ তার কোর্টে হাজিরা ছিল। পরে জানতে পারি আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আছেন। ঢাকা মেডিকেলে এসে দেখি তিনি আর বেঁচে নেই।
আরো পড়ুন : পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে গুলিতে নিহত ১
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ বলেন, বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনে গোলাগুলির শব্দ শুনে আমরা বাইরে যাই। দেখি এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়, তবে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুলিবিদ্ধ মামুনের খালাতো ভাই হাফিজ বলেন, আমার ভাই একজন সাধারণ মানুষ। কারা তাকে হত্যা করেছে বা কেন করেছে, আমরা কিছুই জানি না।
তবে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে দুটি মোটরসাইকেলে করে দুইজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
ডিএমপি মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, তারিক সাইফ মামুন নামের একজন ব্যক্তি গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি ক্যাপ্টেন ইমন গ্রুপের সদস্য ছিলেন।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আজ তিনি আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পুলিশের সূত্র জানায়, নিহত মামুন একসময় শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্যাপ্টেন ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। দীর্ঘ ২৪ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালে তিনি মুক্তি পান।
এর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তেজগাঁও সাতরাস্তায় মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। সে সময় তিনি আহত হলেও পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হন।
নিহত তারিক সাইফ মামুন ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই শহীদ সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলারও অভিযুক্ত।
