মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: নতুন যে তথ্য দিলো পুলিশ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার তদন্তে নতুন তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। জানা গেছে, গৃহকর্মী আয়েশা চুরির উদ্দেশ্যেই বাসাটিতে কাজ নেন। চুরি ধরা পড়ে যাওয়ায় প্রথমে বাসার মালিক লায়লা আফরোজকে এবং পরে ঘটনাটি দেখে ফেলার কারণে তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে হত্যা করে সে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চুরির উদ্দেশ্যেই আয়েশা গৃহকর্মীর কাজ নেন। চুরি ধরে ফেলায় প্রথমে লায়লা আফরোজকে হত্যা করা হয়, পরে ঘটনাটি দেখে ফেলায় মেয়েকে হত্যা করে। হত্যার পর বাসা থেকে মালামাল চুরি করে স্কুলড্রেস পরে পালিয়ে যায় আয়েশা।
আরো পড়ুন : মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন, যেভাবে গ্রেপ্তার হলো সেই গৃহকর্মী
গত ৮ ডিসেম্বর সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি ১৪ তলা ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ ডিসেম্বর নলছিটি এলাকায় আত্মগোপনে থাকা আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আয়েশার বরাতে পুলিশ জানায়, বাসা থেকে মালামাল চুরি করে নেওয়ার সময় লায়লা আফরোজ তাকে হাতে–নাতে ধরে ফেলেন। একপর্যায়ে লায়লা তাকে আটকে পুলিশে খবর দিতে গেলে আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে।
মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে মেয়ে নাফিসা ড্রয়িংরুমে গেলে তাকেও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আয়েশা। এর পর স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যায় সে।
আয়েশার স্বামী রাব্বির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আয়েশার মূল উদ্দেশ্য ছিল চুরি। স্বর্ণালংকারসহ কিছু মালামাল নিয়ে পালানোর সময় লায়লা তাকে ধরে ফেলেন। ধরা পড়ার ভয়ে মা–মেয়েকে হত্যা করে আয়েশা।
সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। মেয়ে নাফিসার শরীরে ছিল ৪টি ছুরিকাঘাতের আঘাত।
