ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে বিল আদায়, গ্রাহকদের হুমকি-ধমকি মিটার রিডারের

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের এক মিটার রিডারের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে বিল গ্রহণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে
স্থানীয়দের দাবি- ওই রিডার মো. ওয়াজউদ্দিন নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্রাহকদের হয়রানি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি বিকাশে বিল না দিলে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন গ্রাহকদের।
নয়াসাঙ্গুন গ্রামের ভুক্তভোগী ইব্রাহীম খলিল বলেন, আমি পেশাগত কারণে ঢাকায় থাকি। তিন মাসের বিল বাকি ছিল, মোট ৫৯০ টাকা। হঠাৎ শুক্রবার দুপুরে ফোন করে ওয়াজউদ্দিন বলেন, ‘লাইনে হাত দিতেছি, দশ মিনিটের মধ্যে বিকাশে টাকা দেন। না দিলে কেটে দেব।’
তিনি বলেন, আমি তখন রাস্তায়। অনুরোধ করে একদিন সময় চাই, বলি রোববার সকালে ব্যাংকে দিয়ে দেব। তিনি কোনো কথা না শুনে বলেন, ‘আমারে যা পারেন কইরেন। কিন্তু এই মুহূর্তে বিকাশে দেন।’
ইব্রাহীম আরো জানান, তিনি ওয়াজউদ্দিনকে আধা ঘণ্টা সময় চান। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে বিকাল পর্যন্ত সময় মেলে, কিন্তু বিকাশে টাকা পাঠাতে বাধ্য হন। তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের নোটিশ অনুযায়ী বিল পরিশোধের সময় তখনো ৩ দিন বাকি ছিল তার।
ওয়াজউদ্দিন শুধু ইব্রাহীম নন, অন্যান্য গ্রাহকদের কাছ থেকেও নিয়মিত ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে বিল নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানান, ওনি হঠাৎ এসে বলেন, এখনই বিল দেন না হলে লাইন কাটব। সময় চাইলে বলেন, ‘অফিসে দিছি নাম, লাইন কেটে দেব।’ শেষে বিকাশে টাকা নিতে বলেন। অনেকেই অজ্ঞান-অশিক্ষিত মানুষ, বিল জমা হয়েছে না হয়নি বুঝতেও পারেন না।
কয়েকজন বলেন, ওনার হাতে বিলের রশিদও থাকে না, অনেক সময় টাকা নেওয়ার পরেও তা অফিসে জমা হয়নি বলে দেখা গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রাহকেরা।
বিষয়টি জানতে চাইলে মিটার রিডার ওয়াজউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হ্যাঁ, আমি ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরেই বিলের টাকা নিই, পরে অফিসে জমা দেই।তবে গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হুমকি-ধমকির বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তিনি।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ আমরাইাদ জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।