ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ করেছে এলাকাবাসী ও আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে শুরু হওয়া এ অবরোধের কারণে মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার ঘাটের নৌচলাচল এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীরা ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে অবস্থান নেন। আন্দোলন শেষে তারা আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেন।
অবরোধকারীরা জানান, ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে তারা দীর্ঘদিন ধরেই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছেন। সোমবারের রেল অবরোধ কর্মসূচির শেষের দিকে একটি ট্রেন হঠাৎ জোরে হুইসেল বাজালে জনতার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তখন কিছু পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ওসির, আন্দোলনকারীদের নয়।
আরো পড়ুন : নিত্যপণ্যের দামের চাপে জনজীবন চিড়েচ্যাপ্টা
তারা বলেন, আমাদের মামলা দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে আমরা পূর্বেও মাঠে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।
ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ভৈরবকে জেলা ঘোষণা এখানকার সর্বস্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। আগে আন্দোলনের মাধ্যমে ৬৫তম জেলার প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এবার আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই মাঠে নেমেছি।
বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র রায়হান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ ও ব্লকেড পালন করেছি। প্রশাসনের অনুরোধে আমরা নিজেরাই ব্যারিকেড তুলে নিয়েছি। আমাদের একটাই দাবি, ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করা হোক।
এ সময় জেলা আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম শাহারিয়া, গণঅধিকার পরিষদের ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, এবং ছাত্রনেতা জুনাইদসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
অবরোধ চলাকালে ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মো. আজিমুল হক, ভৈরব নৌথানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আমরা সবাইকে সংযম ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে একবার ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করা হয়েছিল, তবে প্রশাসনিক পদক্ষেপের অভাবে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর থেকে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
