×

রাজনীতি

জোটযুদ্ধে নতুন সমীকরণ

Icon

হরলাল রায় সাগর

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম

জোটযুদ্ধে নতুন সমীকরণ

ছবি : সংগৃহীত

ভোটের রাজনীতিতে এখন জোট ইস্যু বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহৎ জোট গঠনের পথে হাঁটছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনের শরিক সমমনা দল, কিছু বাম দল ও কিছু ইসলামী দলকে কাছে টানতে চাইছে দলটি। এ লক্ষ্যে দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। এই সময়ের আরেক বৃহৎ শক্তি একসময়ের মিত্র দল জামায়াতে ইসলামীও সমমনা ইসলামী দলের সঙ্গে জোটে যেতে চায়।

তবে আগে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনে কয়েকটি ইসলামী দল প্রকাশ্যে শঙ্কা ও আপত্তি তুলেছে। নেতাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট- বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় তাদের তেমন আপত্তি না থাকলেও জামায়াত নিয়ে তাদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব প্রবল। এর বাইরে একটি বাম জোট গঠনের তৎপরতা চালাচ্ছে সিপিবির নেতৃত্বে কয়েকটি দল। সম্ভাব্য জোটগুলোতে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দেনদরবার চলছে। বিএনপি বলেছে, ইতোমধ্যে সব আসনে একাধিক প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে।    

এদিকে, আসন ভাগাভাগির আলোচনা নিয়ে জট না কাটতেই জোটের প্রতীক ব্যবহারের নিয়মে বদলের কারণে নতুন সংকটে পড়েছে বড়-ছোট রাজনৈতিক দলগুলো। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অধ্যাদেশ-২০২৫ অনুযায়ী, জোটের প্রধান দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। জোটের প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ জোট মনোনীত প্রার্থী হলেও তাকে ভোট করতে হবে নিজের দলের প্রতীকে। বড় দলের জনপ্রিয় প্রতীকে ছোট দলগুলোর ভোট করার সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদ আরপিও সংশোধনী চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার পর আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, নতুন প্রতীক নীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভোটারদের কাছে প্রতিটি প্রার্থীর দলের পরিচয় স্পষ্ট করা।

এতে উদ্বেগে পড়েছে ছোট দলগুলো। নির্বাচনে তাদরে জয়ের সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। ফলে জোটে গিয়েও তাদের কোনো লাভ হবে না। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে আরপিও ও জোটবদ্ধ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।  

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে সভা-সমাবেশ শুরু করে দিয়েছে। এলাকায় চালাচ্ছে প্রচার প্রচারণাও।   

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করা ৫০টি দলের মধ্যে দুটি জোট ও আরো পাঁচটি দল এখন পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অধীনে ১০৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ইচ্ছা জানিয়েছে। বিএনপি আগেই ঘোষণা দিয়েছে, নির্বাচিত হলে তারা জাতীয় সরকার গঠন করবে। এজন্য জোটের সহযোগী দলগুলোর সঙ্গে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসন ভাগাভাগি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। পরাজয়ের আশঙ্কায় জোট নেতারা বলেন, বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’ ছাড়া আগামী ফেব্রযয়ারির নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের পক্ষে জয়ী হওয়া প্রায় অসম্ভব। তারা আরো বলেন, জোটের সহযোগী দলগুলো নিজেদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে গেলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরাও সমর্থন দেবেন না।

ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি বৃহৎ জোট গঠনের চিন্তা করছে জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সোমবার বলেন, যাদেরকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করেছি, তাদেরকে নিয়ে একটা বৃহৎ জোটের চিন্তা করছি। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে যাতে এই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারি। তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে আসনভিত্তিক সব যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, এটা তারই প্রক্রিয়ার একটি অংশ। আমরা একই বার্তা দিতে চাই, যাতে দলের ভেতরে ঐক্য থাকে, জাতির মধ্যে ঐক্য থাকে।

সালাহউদ্দিন বলেন, প্রার্থীদের কাছে আমাদের বার্তা একটাই- বিভেদ নয়, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জাতির মধ্যে ঐক্যটাই হচ্ছে আমাদের বড় শক্তি। সেই ঐক্য বজায় রাখার জন্য কেউ যাতে বিভেদের পথে না যায়, সেই বার্তাটা আমরা প্রার্থীদের দিচ্ছি। গত দুই দিন ধরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের দলের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হচ্ছে; যেখানে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একক প্রার্থীর বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা জানিয়ে দিচ্ছেন।

এর আগে বিএনপির এই নেতা বলেন, বৃহৎ জোট গঠনে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনী জোটে আসতে চাইবে তাদের সবাইকেই এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ছোট দলগুলো নিজেদের প্রতীকে নির্বাচনে গেলে বড় দলের নেতাকর্মীরা সহায়তা করেন না। আরপিওর এই সংশোধন কার্যকর হলে জোট গঠনেরই কোনো মানে থাকবে না।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফারহাদ বলেন, গ্রামের মানুষ বড় দলের বাইরে ছোট দলের প্রতীক চেনেন না। দুই মাসের মধ্যে কোনো প্রতীককে পরিচিত করে তোলা খুবই কঠিন। তিনি বলেন, এর ফলে আসন ভাগাভাগি নিয়েও বিএনপির জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফিজুর রহমান ইরান বলেন, নির্বাচনে প্রধান দলের প্রতীক না থাকলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জোটের প্রার্থীদের প্রতি আগ্রহী হবেন না। তিনি বলেন, ধানের শীষ প্রতীকটি কেন্দ্রীয়ভাবে প্রচার হবে। কিন্তু আমার এলাকায় আমি যদি নিজের দলের প্রতীক আনারস নিয়ে নির্বাচন করি, তাহলে আর কতটা লাভ হবে? এখানে জটিলতা আছে।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম বলেন, অনেক দলের নেতারা বিপাকে পড়বেন। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এটি অস্বস্তিকর। তারা বিএনপির প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না।

যাদের সঙ্গে জোট হতে পারে বিএনপির : দলীয় একক প্রার্থী ঠিক করার পাশাপাশি জোটের পরিধি বাড়াতেও ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত ছিল এমন সমমনা দল ও জোটসহ অন্যান্য উদার গণতান্ত্রিক, বাম, ইসলামী ও আলেমদের সমন্বয়ে জোট গঠন করার কথা জানিয়েছে দলটি। এ নিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ ইসলামপন্থি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

মিত্র দল ও জোটের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ (জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ১২-দলীয় জোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), ১১ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, চার দলীয় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণফোরাম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি) ও লেবার পার্টি বিএনপির বৃহৎ জোটে থাকছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ আরো কয়েকটি দলেরও জোট করার গুঞ্জন রয়েছে। একটি সূত্র বলছে, এই জোট হলে তারা বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে এলায়েন্স করতে পারেন। অথবা পৃথক জোটে থেকেই বিএনপির সঙ্গে ‘আসন সমঝোতা’ হতে পারে। তবে এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। এনসিপি কারো সঙ্গে জোটে যাচ্ছে নাকি এককভাবে নির্বাচন করবেÑ সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এখনো হয়নি। তারা পরিস্থিতি বিবেচনা করছেন।

অন্যদিকে দেশের আলেম সমাজ ও তাদের গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও গুরুত্বের সঙ্গে পাশে চায় বিএনপি। এজন্য দলটির নেতারা এরই মধ্যে হাটহাজারী মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির, ছারছীনা পীর, আলিয়া মাদ্রাসা ধারার যেসব মুরুব্বি ও আলেম আছেন, তাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। 

জামাতের জোট : অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে দীর্ঘ দিনের মিত্র বিএনপির বলয় থেকে বের হয়ে নিজস্ব শক্তির জানান দিয়ে আসছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জুলাই জাতীয় সনন ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও নির্বাচনের আগে গণভোটসহ নানা দাবিতে জামায়াত ৭টি ইসলামী দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসেছ। একসময়ের বৈরিতা ভুলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এই আন্দোলনে এক ছাতায় এসেছে। ইসলামী দলগুলোর ভোট এক বাক্সে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও নেতারা জানিয়েছিলেন। তবে জোট গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট করেনি কেউ। জামায়াতও জোট গঠনের বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি; বরং এই যুগপৎ আন্দোলনের শরিক কয়েকটি দল এবং ইসলামী দল জামায়াত সম্পর্কে আপত্তির কথা জানিয়েছে। 

জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে সবচেয়ে তীব্র সমালোচনা করেন হেফাজতের আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। সম্প্রতি হাটহাজারীতে এক সম্মেলনে তিনি বলেন, মওদুদি ফিতনা প্রতিহত না করলে দেশে ইসলাম থাকবে না। মওদুদিবাদীরা সাহাবিদেরকে সত্যের মাপকাঠি মানে না। ইসলামের পর্দা প্রথাকে তারা অস্বীকার করে, জামায়াত নেতা শিশির মনির পূজা এবং রোজাকে এক আখ্যায়িত করে ইমানহারা হয়েছেন। এর কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের নাজিরহাটে এক আলোচনা সভায় তিনি জামায়াতের ব্যপারে বলেন, জামায়াত সহিহ ইসলামি দল নয়। আমাদের ইসলাম মদিনার ইসলাম, মওদুদির ইসলাম নয়। মওদুদির ইসলাম করলে ইমান থাকবে না। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, জামায়াত দেশে মওদুদির ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ঐক্যের প্রশ্নই আসে না।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক সম্প্রতি বলেন, বিএনপি যেহেতু কোনো ইসলামি আদর্শভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন নয়, কাজেই তাদের সঙ্গে জোট করলে আমাদের অনুসারীরা আদর্শিকভাবে বিভ্রান্ত হবেন বলে আমরা মনে করি না। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী একটি সুসংগঠিত ইসলামী রাজনৈতিক দল। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের সঙ্গে তাদের কিছু মতপার্থক্য আছে। তাই জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করলে আমাদের জনশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর বক্তব্যও অনেকটা এরকমই। তিনি বলেন, জোটের ক্ষেত্রে আমাদের মূলনীতি স্পষ্ট, আমরা এমন কারো সঙ্গে জোট করতে চাই না, যার ফলে হাজার বছরের ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিন্তা ও দর্শন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বিএনপির সঙ্গে জোট হলে অন্তত সরাসরি ইসলামের ক্ষতি আমরা দেখি না। কারণ বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল, তারা নিজেকে ইসলামী দল বলে দাবি করে না। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দ্বীনের মৌলিক অনেক বিষয়ে আলেমদের দ্বিমত থাকা সত্ত্বেও তারা সুসংহত একটি রাজনৈতিক সংগঠন। দ্বীন, ইমান ও শরিয়তের বহু বিষয়ে আলেমদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের বাইরে তাদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। তাই তাদের সঙ্গে জোটগত আন্দোলনে গেলে আমাদের কর্মীরা বিভ্রান্ত হওয়ার প্রবল শঙ্কা থাকে। তাই আমরা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটে যেতে চাই না।

সিপিবির জোট : নির্বাচনের আগে বাম ধারার সব দল ও সংগঠনকে নিয়ে একটি জোট গঠনে তৎপর রয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এই জোটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছয় দল-বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, সমাজতান্ত্রিক পার্টি ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ থাকছে। এর বাইরে আদিবাসী সংগঠন, দলিত সংগঠন এবং নাগরিক সংগঠনগুলোকে জোটে ভেড়ানোর চেষ্টা চলছে। সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা রাজনৈতিক বন্দোবস্তের বদল চাই। বিগত সময়ে শাসক দলগুলোকে আমরা দেখেছি। তাই বিকল্প জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সরকারের কাছে বাস্তবায়ন সুপারিশপত্র হস্তান্তর

জুলাই সনদ সরকারের কাছে বাস্তবায়ন সুপারিশপত্র হস্তান্তর

ঝালকাঠি আওয়ামী লীগের তিন নেতা কারাগারে

ঝালকাঠি আওয়ামী লীগের তিন নেতা কারাগারে

অস্ত্রসহ আনসার থাকবে প্রতি ভোটকেন্দ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অস্ত্রসহ আনসার থাকবে প্রতি ভোটকেন্দ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App