ডলারের দাম কমলো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ আমদানির ওপর নতুন শুল্ক প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা শুরু করেছেন, যা কিছু দেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে, যেসব পণ্যের ওপর শুল্কের প্রত্যাশা ছিল তা এখন কিছুটা কমে আসতে পারে। এর ফলস্বরূপ, গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) মার্কিন ডলারের মান ১ শতাংশ কমে গেছে। এমন তথ্য জানানো হয়েছে সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে।
শুল্ক প্রস্তাব: নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাত
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, ট্রাম্পের সহকারীরা এমন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন, যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে শুধু সেই খাতগুলোতে শুল্ক আরোপ করা হবে, যা জাতীয় বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
ডলারের পতন: ইউএস ডলার ইনডেক্সের ১ শতাংশ পতন
ইউএস ডলার ইনডেক্স ইতোমধ্যে নিম্ন পর্যায়ে ট্রেড করছিল। তবে এই প্রতিবেদনটির পর এটি ১ শতাংশের বেশি কমে ১০৭ দশমিক ৮৬-এ পৌঁছেছে। এটি বৃহস্পতিবারের ১০৯ দশমিক ৫৪ থেকে অনেক নিচে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চতম মান ছিল।
বৈদেশিক মুদ্রায় বৃদ্ধি: ইউরো, চীনের ইউয়ানসহ অন্যান্য মুদ্রার বৃদ্ধি
ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের প্রত্যাশায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ইউরো ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ০৪ ডলারে পৌঁছেছে, যা এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ। এর আগে, ইউরো ১ দশমিক ০২ ডলারে নেমে গিয়েছিল, যা গত ২৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।
এছাড়া, চীনের ইউয়ানও বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে অফশোর কারেন্সি ০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ৩২৫ ডলার প্রতি পৌঁছেছে। অনশোর কারেন্সি ৭.৩১৫ ডলারে ১৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে বন্ধ হয়েছে, যা ট্রাম্পের নীতির কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
অন্য মুদ্রার ওপর প্রভাব: স্টার্লিং এবং অস্ট্রেলিয়ান ডলার বৃদ্ধি
স্টার্লিং ০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ২৫৪২ ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে, অস্ট্রেলিয়ান ডলার ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে ০ দশমিক ৬২ ডলারে পৌঁছেছে এবং ইউএস ডলার কানাডিয়ান ডলারের বিপরীতে ০ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমেছে।
মুদ্রাস্ফীতি ও ফেডারেল রিজার্ভের নীতির প্রভাব
অনেক অর্থনীতিবিদ বিশ্বাস করেন, ব্যাপক শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে, যা ফেডারেল রিজার্ভকে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ করতে পারে। এটি বন্ডের রিটার্নের উচ্চতা রাখতে পারে এবং ডলারের সমর্থন করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা শুক্রবারের ইউএস নন-ফার্ম পেরোলস জবস রিপোর্টের দিকে নজর রাখছেন, যাতে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
এ সপ্তাহে অনেক ফেড কর্মকর্তা বক্তৃতা দেবেন এবং তারা সম্ভবত তাদের সহকর্মীদের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো পুনর্ব্যক্ত করবেন, যেখানে বলা হয়েছে যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।
এখন, আন্তর্জাতিক বাজারে চলমান এই পরিস্থিতি অর্থনীতির উপর কী প্রভাব ফেলবে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।