আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আইসিসির ‘ভিত্তিহীন ও অবৈধ’ পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রুবিও। তিনি বলেন, আইসিসি এখন আর নিরপেক্ষ নয়। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং ভুলভাবে দাবি করছে যে তাদের সীমাহীন ক্ষমতা রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নাগরিকদের বিরুদ্ধে বিচার চালাতে পারে।

তিনি আরও জানান, আইসিসির এই আচরণ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। রুবিওর বিবৃতিতে বিশেষভাবে ইসরায়েলের কথাও উল্লেখ করা হয়, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন : আমি না থাকলে হারতেন অকৃতজ্ঞ ট্রাম্প: মাস্ক

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া চার বিচারক হলেন- উগান্ডার বালুঙ্গি বোসা, পেরুর লুজ ডেল কারমেন ইবানেজ, বেনিনের রেইনি আদেলাইদে সোফিয়া আলাপিনি গানসোউ এবং স্লোভেনিয়ার বেতি হোলার। নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই বিচারকদের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সম্পত্তি ও আর্থিক সম্পদ জব্দ করা হবে। একই সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। এই লেনদেনের মধ্যে অর্থ, পণ্য বা সেবা প্রদানও অন্তর্ভুক্ত।

ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে আইসিসি। এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা একটি আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতাকে দুর্বল করার স্পষ্ট প্রচেষ্টা। আইসিসি ১২৫টি সদস্য রাষ্ট্রের ম্যান্ডেট অনুযায়ী পরিচালিত হয়। যারা জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন, তাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হলে সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হয় না। বরং, এটি আগ্রাসী শক্তিকে আরও সাহস জোগায়—শাস্তির ভয় ছাড়া যেকোনো কিছু করার সুযোগ তৈরি করে।